শুক্রবার, ০৯ Jun ২০২৩, ০১:৪০ অপরাহ্ন
শেখ ইমতিয়াজ কামাল ইমন,রাঙ্গামাটি প্রতিনিধিঃ
রাঙ্গামাটি নানিয়াচরে গত ৩ তারিখ নানিয়াচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা ও জেএসএসের শীর্সকনেতাসহ ৫জনকে হত্যায় দায়েরকৃত মামলায় যৌথবাহিনীর অভিযানে সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কুতুবছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কিরণ চাকমা এবং বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটার সময় শহরের কল্যাণপূরস্থ নিজ বাসা থেকে আটক করা হয়েছে জেএসএস এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের স্টাফ সদস্য তন্টু মনি চাকমাকে আটক করে যৌথবাহিনী।
পুলিশ সূত্র জানাগেছে, আটককৃত কুতুকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কিরণ চাকমার জন্যে আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। আদালত আগামী রোববার রিমান্ড আবেদনের শুনানীর দিন র্ধায্য করে কিরণ চাকমাকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ প্রদান করেন।
এদিকে তন্টুমনিকে আটকের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জেএসএস। শুক্রবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে প্রেরিত সংগঠনটির সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, কোন মামলা ও ওয়ারেন্ট না থাকা সত্ত্বেও যৌথ বাহিনী কর্তৃক এভাবে গভীর রাতে তন্টু মনি চাকমাকে ঘুম থেকে তুলে গ্রেপ্তারের ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং এই গ্রেপ্তার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
বলাবাহুল্য, যৌথবাহিনী কর্তৃক এভাবে নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ঘটনা পরিস্থিতি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা বলে বিবেচনা করা যায়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি অবিলম্বে তন্টু মনি চাকমাকে নি:শর্তে মুক্তি প্রদানের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে। সেই সাথে সন্ত্রাসী খোঁজার নামে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিরীহ মানুষের উপর হয়রানি ও গ্রেপ্তার বন্ধের দাবি জানায়।
নানিয়াচর ঘটনার প্রেক্ষিতে রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন স্থান এবং শহরের প্রধান প্রধান সড়কে, পয়ন্টে,পয়ন্টে পুলিশ জোরদার তল্লাশি করা হয়েছে।
এদিকে রাঙামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবির বলেছেন, আমরা মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তিনি বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাবাসাদের ভিত্তিতেই আইনী কার্যক্রম চলবে। এতে কেউ যদি নিরপরাধ প্রমানিত হয় তাহলে তিনি আদালতের মাধ্যমে ছাড়া পাবেন। তিনি আরো জানান, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমাদের যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে এবং এটি চলমান থাকবে।
Leave a Reply