রাঙ্গামাটি জেলা শহর থেকে বোট যোগে প্রায় দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে দুমদুম্যা ইউনিয়ন পৌঁছাতে । বরকল উপজেলার ঠেগামুখ হয়ে যেতে হয় ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নদী পথে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বর্তমানে এই ইউনিয়নের প্রায় ১৭ টির বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের নেই কোন নিরাপদ পানির সুব্যবস্থা ও নেই কোন গভীর নলকূপ। সাধারণ জনগনের জন্য নেই কোন নিরাপদ পানির ব্যবস্থা। সেখানে একমাত্র উপায় হলো কুয়া বা ছোট ছোট ঝর্না থেকে পানি সংগ্রহ করা হয়। এলাকাবাসীর একটাই দাবি নিরাপদ পানির জন্য এলাকাতে নলকূপ স্থাপন করে দেওয়া। তাহলে তারা নিরাপ পানির সঙ্কট থেকে পরিত্রান পাবে।
বিশেষ করে চলিত বর্ষা মৌসমে দূর্গম পাহাড়ি এলাকাতে সুপেয় পানির অভাব থাকে। একটু বৃষ্টি হলেই কুয়ার পানি ঘোলাতে অপরিস্কার হয়ে যায়। যার কারণে পানি পান করা নিরাপদ নয়। এলাকার অনেক সময় দেখা দেয় শিশুদের ডাইরিয়া,থাইপয়েট ও জন্ডিসসহ নানা প্রকার পানিবাহিত রোগ। অনিরাপদ পানি পান করে মানুষের মৃত্যুর কারন হয়ে দাঁড়ায় পারে। এখনো পর্যন্ত ঐসব এলাকার গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়নি। গ্রামেই এমন কোন গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে তা দেখা মেলেনি।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এক একটি গভীর নলকূপ স্থাপনের ক্ষেত্রে খরচ পড়বে কমপক্ষে প্রায় ২- ৩ লক্ষ টাকা। নলকূপ স্থাপনের সময় ২০০-২৫০ ফুট পর্যন্ত গভীরে যেতে হবে । খরচ বেশি হওয়ার কারণে কেউ ব্যক্তিগতভাবেও এলাকার নলকূপ স্থাপন করতে পারেনি।
এলাকাবাসীরা ক্ষোভ করে বলেন, এই ইউনিয়নের এযাবৎ এতগুলো ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে কেউ এ বিষয়ে গুরত্ব দেয়নি। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই প্রর্থনা আপনি আমাদের নিরাপদ পানির জন্য এলাকার সহযোগিতা করুণ।
এব্যবাপারে দুমদুম্যা ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply