রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৩০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বান্দরবান বোমাং সার্কেলে প্রয়াত ১৪তম বোমাংগ্রী মংশৈপ্রু চৌধুরীর সহধর্মিণী বড় রানি অনুচিং এর শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলো। শেষ বারের মত বিদায় ও শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন রাজ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রজাবাসিরা।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকালে পুরাতন রাজ বাড়ি নিজ বাসভবনে রাজপরিবারের সদস্যবৃন্দরা শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে দুপুর ১ ঘটিকার সময় রানি দেহ আনা হয় রাজার মাঠে। রাজ প্রথা ও রীতিনীতি অনুসারে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে সই নৃত্য ও রথ টেনে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। বিকালে বান্দরবান বৌদ্ধ শ্মশানে তার মরদেহ শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।
বড় রানি অনুচিং সংক্ষিপ্ত জীবনী, রানি অনুচিং ১৯৭২ সালে ২৬ ডিসেম্বর সোমবার রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নের কাচলং দুয়ার পাড়ায় জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতা প্রয়াত অবনী রঞ্চন দেওয়ান এবং মাতা প্রয়াত স্বর্ণতারা দেওয়ান। রঞ্চন দেওয়ান বর্তমান চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়ের প্রপিতামহ ভুবনমোহন রায়ের জ্ঞাতিভাই ছিলেন। তাঁর পিতা রঞ্জন দেওয়ান চাকমা ২২নং কুরকুটিছড়ি মৌজার হেডম্যান ছিলেন। পাঁচ বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়।
অনুচিং পারিবারিক নাম ছিল অনুত্তরা দেওয়ান, ডাকনাম ছিল টুকু। তিনি ১৯৪৮ সালে বোমাং সার্কেলের ১২শ বোমাংগ্রী ক্য জাই প্রু এর সুযোগ্য পুত্র তৎকালীন ওয়েলফেয়ার অফিসার মংশৈ প্রু চৌধুরীর সাথে বিবাহবন্ধনের আবন্ধ হন এবং তখন থেকেই তিনি বান্দরবানে বোমাং রাজবাড়িতে রাজপুত্র বধূ হিসেবে সংসারধর্ম প্রতিপালন শুর করেন। বিয়ের পর অনুত্তরা দেওয়ান পরিবর্তে অনুচিং নামটি গ্রহন করেন।
১৯৫৯ সালে বড় ভাই বোমাং সার্কেলের ১৩তম বোমাংগ্রী ক্য জ সাইন এর মৃত্যুর পর মংশৈ প্রু চৌধুরী বোমাং সার্কেলের ১৪তম বোমাংগ্রী পদে অভিষিক্ত হলে তিনি রানি অনুচিং হিসেবে অভিষিক্ত হন। রানি অনুচিং বড় রানি হিসেবেই সবার কাছে পরিচিতি ছিলেন। অনেকেই তাঁকে রানিমা কিংবা মাতাজি বলেও সম্বোধন করতেন। সবার শ্রদ্ধা, ভক্তি, সম্মান এবং ভালোবাসা নিয়ে তিনি আমৃত্যু পর্যন্ত বড় রানির মর্যাদায় সগৌরবে বেঁচে ছিলেন।
গত ২৬ জানুয়ারি ২০২০ইং রবিবার বিকালে তিনি মুত্যু বরণ করেন। তিনি পুত্র, পুত্রবধু কন্যা, জামাতা এবং ৩নাতি , ২নাতনি ও ১ প্রপৌত্রী রেখে গিয়েছেন।
Leave a Reply