বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন
মংহাইথুই মারমা,রুমা প্রতিনিধি
বান্দরবানে রুমা উপজেলার সর্বত্র এবার আদার বাম্পার ফলন হয়েছে। দামও আশানুরূপ হওয়ায় চাষীদের আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এ বছর উপর্যুপরি আদার ফলন হওয়ায় এবং ভালো দাম পাওয়ায় আদা চাষে ব্যাপকভাবে ঝুঁকে পড়েন অনেক চাষী।
চাষীরা জানান, রুমা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে পাহাড়ি এলাকায় এবার ব্যাপক আদা চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে চাষীরা ক্ষেত থেকে নতুন আদা তুলে বাজারে বিক্রির জন্য আনতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে উপজেলা সদরে ইডেন রোড ও বাজারে কয়েকটি জায়গায় আদার বাজার জমে উঠেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার আর পর্যাপ্ত সার প্রয়োগের কারণে এবার আদার বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু গত দুই বছর আদার দাম ভালো না পেলেও এবার আদার দাম খুাই চড়া। ফলে বাম্পার ফলনের ফলে অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হয়েছে।
চাষীরা আরও জানান, রুমায় উৎপাদিত আদা মূলত বিক্রি হয় কেরানীহাট ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন কারখানা ও অলিগলি বাজারসহ বিভিন্ন জায়গা এবারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৮৭ টাকা। অর্থাৎ প্রতি মণ ৩ হাজার ৫শত। অথচ গত বছর প্রতি কেজি আদা বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা পর্যন্ত। এর আগের দু’ বছরও প্রায় একই দামে বিক্রি হয় আদা। চাষীরা তখন লোকসানে পড়েন। ফলে এতে আদা চাষে ব্যাপকভাবে ঝুঁকে পড়েন চাষীরা।
রুমা বাজারে পাইকারি আদা ব্যবসায়ী মো: ইদ্রিস বলেন,রুমায় এবার আদার বাম্পার ফলন হয়েছে। আশানুরূপ দামও পাচ্ছেন কৃষকরা। আদা চাষ করে এবারে বাম্পার ফলন কৃষকের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। আদা চাষের প্রতি কৃষকরা গুরুত্ব দিচ্ছেন।
রুমা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রুমা দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় এবার প্রায় পাঁচ একরেরও বেশি জমিতে আদা চাষ হয়েছে। চাষীরা ইতিমধ্যে নতুন আদা তুলতে শুরু করেছে। প্রতি একর জমিতে প্রায় চার হাজার কেজি পর্যন্ত আদা উৎপাদিত হয়েছে। যা আগে কখনও হয়নি। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় আদার বাম্পার ফলন হয়েছে বলে তিনি জানান।
রুমা মুলপি পাড়ার এলাকার আদা চাষী মংফোচিং মারমা(৫০) এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রতি কেজি আদা বীজ ৬০টাকা দামে কিনে বপন করেছি। বেশি দামে কিনতে হয়েছে সার ও কীটনাশক শ্রমিকের মজুরি বেড়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণ। সবমিলিয়ে ৫ একর জমিতে আদা চাষ করতে গিয়ে আমার খরচ হয়েছে ৪ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে তোলা ২একর জমিতে আদা উৎপাদিত হয়েছে ৩হাজার ৬শত কেজি। যা বিক্রি করে ১০লক্ষাধিক টাকা পাওয়া যেতে পারে।
Leave a Reply