বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন খাগড়াছড়ি মানিকছড়িতে মাশরুম চাষে সফল ইঞ্জিনিয়ার সানি মারমা বান্দরবান রাজার মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আওয়ামীলীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন: সভাপতি মংপু ও সাঃ সম্পাদক নাছির পাহাড়ে কি নাম ধরে তারা আসছে সেটা আমাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাঙ্গামাটি শহরে হঠাৎ দেখা মিলল ‘দাগি-বসন্ত’ পাখি বান্দরবান রাজার মাঠ সংলগ্ন পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসন শুরুতেই হোচঁট, ‘ন যাইয়ুম ন যাইয়ুম’ শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ

রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসন শুরুতেই হোচঁট, ‘ন যাইয়ুম ন যাইয়ুম’ শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ

আব্দুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ
বহুল প্রতীক্ষিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুতেই হোচট খেয়েছে। মিয়ানমারে ফেরাতে বাঁছাই করা রোহিঙ্গাদের আনতে বাস নিয়ে গেলে বাধে বিপত্তি। নানা শ্লোগান দিয়ে তারা মিয়ানমারে ফিরবে না মর্মে জানান দেয়।

পুটিবনিয়া ক্যাম্পে বিক্ষোভরত রোহিঙ্গারা আরআরআরসি কমিশনার আবুল কালামের  বহনকারী গাড়ী আটকে দিলে ক্যাম্প থেকে দ্রুত সরিয়ে পড়েন তিনি।

জানা গেছে, এমন টেকনাফের উনচিপ্রাং পুটিবনিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসন বিরোধী বিক্ষোভ করেন। তারা ‘ন যাইয়ুম ন যাইয়ুম’ (যাবো না, যাবো না) শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে। ঐ ক্যাম্প থেকে আগামী তিনদিনে প্রত্যাবাসিত হওয়ার জন্য ২৯৮ জন রোহিঙ্গার একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে উপস্থিত রোহিঙ্গাদের জানানো হয় যে তাদের জন্য অন্তত তিনদিনের খাবার দাবার ও জরুরি প্রয়োজন দ্রব্যাদিসহ বাসে করে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছ। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়। এরপর তাদের বাসে ওঠার আহবান জানালে ‘যাবো না’ বলে ¯েøাগান দেওয়া শুরু করে তারা। বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় কয়েকজনের হাতে প্লাকার্ড দেখা যায় যেখানে তারা মিয়ানমারের নাগরিকত্ব প্রদান, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা সহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে। বিক্ষোভের সময় রোহিঙ্গাদের হাতে বেশকিছু প¬্যাকার্ড দেখা যায়। প্রথম দফায় প্রত্যাবাসনের জন্য যেসব পরিবার তালিকাভুক্ত ছিল, তাদের কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা নাগরিকত্ব সহ বসত ভিটা ফিরিয়ে দিলে ফিরে যাবে বলে মত প্রকাশ করেছেন। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম জানান যে তারা সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, কিন্তু একজন রোহিঙ্গাও স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে রাজী না।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে রাতের আঁধারে কিছু এনজিও ও ব্যক্তি উনচিপ্রাং ক্যাম্পের ফিরে যাওয়ার তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের ফিরে না যেতে ইন্ধন যুগিয়েছে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দুপুর বেলা ১২ টা থেকেই বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের লাল ব্রীজেই অবস্থান নেয় বর্ডার গার্ড ব্যাটেলিয়ন (বিজিবি) সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ওপারে বাংলাদেশ সীমানার নিকটে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ( বিজিপি) সেখানে দেখা যায় কিছুক্ষণ পর-পর আরআরআরসি’র কর্মকর্তাদের। তারা কখনো উখিয়ার কুতুপালং টিভি টাওয়ার সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে কখনো ঘুমধুম সীমান্তে। আবার কখনো ক্যাম্পে এভাবে বৃহস্পতিবার পূর্ব নির্ধারিত প্রত্যাবাসন সময় চলে যায়।প্রত্যাবাসন ছাড়া ঘুমধুম সীমান্তের বাংলাদেশ- মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক ছিল ফাঁকা।

রোহিঙ্গা শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো: আবুল কালাম জানান,স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গারা না গেলে জোর করে সম্ভব নয়।তবে আজকের মত প্রত্যাবাসন স্থগিত। সরকার শীগ্রই প্রত্যাবাসন শুরু করতে জোর চেষ্ঠা অব্যাহত রাখবে।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology