শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি লামাঃ
লামায় বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালতের স্থিতিবস্থা আদেশ উপেক্ষা করে বিরোধীয় জমিতে হালচাষ ও দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের বৈল্ল্যারচর বাজার সংলগ্ন জমিতে দেশীয় লাঠি সোটা, রড, দা ও ছুরি নিয়ে জনৈক মংলুইচিং মার্মা দলবেধে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে বলে জানান, মামলার বাদী রোকেয়া বেগম। তিনি আরো বলেন, তারা দলবেঁধে চাষাবাদ করতে গেলে আমরা বাধা দিই। তারা কয়েকবার আমাদের মারধর করেছে। এই বিষয়ে পুলিশের সহায়তা চেয়েও পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শাহ নেওয়াজ বলেন, যেভাবে মংলুই চিং মার্মা দল বেধে জমিতে নেমে হালচাষ করছে তাতে যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘাত হতে পারে। যাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়ভাবে জাতিগত দাঙ্গা বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, জমিতে কেউ না নামার জন্য স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে উভয় পক্ষকে আদালতের নির্দেশে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। যে আইন ভঙ্গ করবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, বিরোধীয় জমির মূল মালিক সদর ইউনিয়নের হ্লাচাই পাড়ার ঞম্ব মগ। তার মৃত্যুতে তার তিন ওয়ারিশ আহ্লামে মার্মানী, মংএছা মার্মা ও মংলুই চি মার্মা জমির মালিক হয়। রোকেয়া বেগম ও তার মেয়ে ফাতেমা বেগম ঞম্ব মার্মার ২নং ওয়ারিশ মংএছা মার্মা হতে ৯৯ শতক জমি ক্রয় করে নামজারী মামলা ১৫৫/লামা/১৬ মতে মালিক হয়। চৌহদ্দি মতে তারা দখলে গেলে অপর ওয়ারিশ মংলুইচিং মার্মা বাধা দেয়। পরে বিষয়টি আইনী ভাবে গড়ায়। বর্তমানে বান্দরবান দায়রা জজ আদালতে উক্ত জমির বিষয়ে দুই মামলা চলমান রয়েছে। অপর মামলা নাম্বার ১২/২১০১৯ ও মিস সি. আর. মামলা ২৪/১৮। আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও মামলা থাকা সত্ত্বেও মংলুই চিং মার্মা গায়ের জোরে জমি দখলে গেলে এই উশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এই বিষয়ে জানতে মংলুই চিং মার্মাকে অনেকবার ফোন করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় এবং স্ব-শরীরে দেখা করতে গেলে সে পালিয়ে গেলে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
লামা থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক রাম প্রসাদ দাশ বলেন, উভয়পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে এবং মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিরোধীয় জমিতে না নামতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply