শুক্রবার, ২০ মে ২০২২, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
মংছিংপ্রু মার্মা, লামা প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানে লামায় এক সপ্তাহে আবারো দ্বিতীয় বারে মত নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে পড়েছে। প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় পৌরএলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এলাকা পানির নীচে তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রচন্ড বৃষ্টিতে বিকাল দিকে আবারো পানি বন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ১২ হাজার মানুষ। বন্ধ হয়ে গেছে লামা উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন, পাশ্ববর্তী উপজেলা আলীকদম ও চকরিয়া সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ।
সূত্র জানান, গত শনিবার থেকে টানা তিনদিন প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় গত সোমবার ও মঙ্গলবার লামা উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় পানি বন্ধী হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার বিকালে মাতামুুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পাহাড়ী ঢল পানি নেমে গেলে বন্যা প্লাবিত এলাকা থেকে পানি নেমে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রবল বর্ষনে দ্বিতীয় বারের মত আবারো পানি বন্ধী হয়ে পড়ে লামায় পৌরসভাসহ উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল এলাকা। এতে লামা বাজার ছাড়াও প্লাবিত এলাকা গুলোর মধ্যে রয়েছে লামা পৌরসভার নয়া পাড়া, লামা বাসষ্টেশন, বড়– নুনারবিল, ছোট নুনারবিল, হাসপাতাল পাড়া, উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকা, রাজবাড়ি, কলিঙ্গাবিল, গজালিয়া ইউনিয়নে হেডম্যান পাড়া, ছোট বমুসহ অনেক নি¤œাঞ্চল এবং রুপসীপাড়ার ইউনিয়নে হ্লাচ্ছা পাড়া, চিংকুং ঝিরি, টিয়ার ঝিঝি, অংহ্লা পাড়া, বৈদ্য ভিটা, হাফেজ পাড়া, উত্তর দরদরী নোয়াপাড়া। এছাড়া, পৌর এলাকায় হলি চাইল্ড পাবলিক স্কুল ও নুনারবিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে রাস্তায় ও বারান্দাতে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। লামা পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ১২হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।
লামা পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম নিম্নাঞ্চল বন্যা প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করছেন বলে জানিয়েছেন।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, পাহাড় পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সড়ে যেতে বলা হয়েছে। পৌর এলাকার তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যা প্লাবিত এলাকা থেকে মানুষ আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। তবে এখনও হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায় নাই।
Leave a Reply