শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন খাগড়াছড়ি মানিকছড়িতে মাশরুম চাষে সফল ইঞ্জিনিয়ার সানি মারমা বান্দরবান রাজার মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আওয়ামীলীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন: সভাপতি মংপু ও সাঃ সম্পাদক নাছির পাহাড়ে কি নাম ধরে তারা আসছে সেটা আমাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাঙ্গামাটি শহরে হঠাৎ দেখা মিলল ‘দাগি-বসন্ত’ পাখি বান্দরবান রাজার মাঠ সংলগ্ন পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
লামায় চিচিংঙ্গা বাম্পার ফলন ;দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি

লামায় চিচিংঙ্গা বাম্পার ফলন ;দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি

মংছিংপ্রু, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ
লামায় চলতি মৌসুমে চিচিংঙ্গা বাম্পার ফলন হয়েছে। এই সবজি চাষ করে অনেক চাষি স্বাবলম্বী হয়েছেন। এতে করে চিচিংঙ্গা চাষে আরো আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা।

লামা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর লামা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় প্রায় ৯০ হেক্টর জমিতে চিচিংঙ্গা চাষ করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বিশি চিচিংঙ্গা চাষ করা হয়েছে রুপসীপাড়া ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে।

উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের গিয়ে দেখা যায়, বাঁশের তৈরি মাচার নিচে সারিবদ্ধভাবে ঝুলছে চিচিংঙ্গা। কৃষকরা চিচিংঙ্গা তুলে ঝুঁড়িতে সাজিয়ে বাজারে বিক্রির উপযোগী করে তুলছেন। এছাড়া ফাঁসিয়াখালী ইয়াংছাতে বাজারে উপরে রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে চিচিংঙ্গা বিক্রয় জন্য সাজিয়ে রেখেছে। চকরিয়া ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলছেন, এই বছর অন্যান্য সবজির তুলনায় চিচিংঙ্গা চাহিদা বেশি রয়েছে। ঠান্ডা তরকারি হিসেবে পরিচিত চিচিংঙ্গা লামা পাহাড়ী অঞ্চলে ভালো জন্মে বলে তিনি জানান। তাই তিনি প্রতি সপ্তাহ তিন দিন শুক্রবার, শনিবার ও মঙ্গলবার লামাতে বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সবজি কিনতে আসেন। তিনি আরো জানান, লামার উৎপাদিত চিচিঙ্গা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি হচ্ছে।

রুপসীপাড়া ইউনিয়নের অংহ্লাপাড়া কৃষক মো. বক্কর আলী (৩৫) ও আবদুল মজিদ (৩৩) জানান, প্রতি একর জমিতে চিচিঙ্গা চাষ করতে খরচ পড়ে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। এই ফলন বিক্রি করে বাজারদর অনুযায়ী ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা পায় কৃষক। রুপসীপাড়া ইউনিয়নের প্রায় ৮০ একর জমিতে চিচিঙ্গা চাষ হয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিচিঙ্গা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। সব গুলো বিক্রয় হলে প্রায় সাত থেকে আট লাক্ষ টাকা লাভ থাকবে বলে জানিয়েছেন।

ফাঁিসয়াখালী ইউনিয়নের মো. হোসেন জানান, এবার তিনি প্রায় এক একর জমিতে চিচিঙ্গা চাষ করেছেন। এতে তার সর্বসাকুল্যে খরচ হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। তিনি এ পর্যন্ত ৪৫ হাজার টাকার চিচিঙ্গা বিক্রি করেছেন। আরও ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকার চিচিঙ্গা বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ মো নূরে আলম জানান, রুপসীপাড়া, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে এবার চিচিঙ্গার বাম্পার ফলন হয়েছে। সবজি হিসাবে মোটামোটি বাজারে দাম ভাল রয়েছে।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology