শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন খাগড়াছড়ি মানিকছড়িতে মাশরুম চাষে সফল ইঞ্জিনিয়ার সানি মারমা বান্দরবান রাজার মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আওয়ামীলীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন: সভাপতি মংপু ও সাঃ সম্পাদক নাছির পাহাড়ে কি নাম ধরে তারা আসছে সেটা আমাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাঙ্গামাটি শহরে হঠাৎ দেখা মিলল ‘দাগি-বসন্ত’ পাখি বান্দরবান রাজার মাঠ সংলগ্ন পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
লামায় তুচ্ছ ঘটনায় ৩ শিশু ও নারী গুরুতর আহত

লামায় তুচ্ছ ঘটনায় ৩ শিশু ও নারী গুরুতর আহত

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি লামাঃ
অতি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাশের বাড়ির লোকের হামলায় ৩ শিশু ও নারী গুরুতর জখম হয়েছে। শনিবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড শামুকঝিরিতে এই ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষ ও রক্তাক্ত অবস্থায় আহত তিনজনকে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে লামা হাসপাতালে ভর্তি করায়।

আহতরা হলেন, মনির হোসেন (৫) পিতা- আবু কালাম, আসমা বেগম (৩৮) স্বামী- আবু কালাম ও জোহরা বেগম (৩০) স্বামী- মো. মোশারফ হোসেন, শামুকঝিরি, রুপসীপাড়া, লামা উপজেলা, বান্দরবান।

আহত জোহরা বেগম প্রতিবেদককে বলেন, সকালে আমার একটি হাঁসের বাচ্ছা হারিয়ে যায়। আমি হাঁসটি দেখেছে কিনা জানতে পাশের বাড়ির বকুল বেগমের কাছে যাই। তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। ঝগড়া শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় আমার বোন আসমা বেগম ও তার শিশু সন্তান মনির হোসেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বকুল বেগমের স্বামী আবুল বশার, ছেলে মো. ইয়াছিন ও মো. তারেক সহ লাঠিসোটা ও দা নিয়ে এগিয়ে এসে আমাদের কুপিয়ে ও মারধর করে গুরুতর জখম করে। আমরা অজ্ঞান হয়ে যায়। স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে লামা হাসপাতালে ভর্তি করে।

আমার স্বামী লামা বাজারে ছিল ও আমার বোনের স্বামী আবু কালাম কক্সবাজারে থাকে। তাদের সাথে পূর্বে থেকে আমাদের ভূমি নিয়ে বিরোধ ছিল।

লামা হাসপাতালে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার মো. কাউছার বলেন, তিন জনের প্রত্যেকের শরীরের অনেক গুলো দায়ের কুপ ও আঘাতে চিহ্ন আছে। শিশুটির কোমড়ে মোটা লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। কোমড়ের হাড় ভাঙ্গতে পারে। তিনজনের প্রচুর রক্তখনন হয়েছে। তাদের রক্ত দেয়ার প্রয়োজন আছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আবুল বশার পলাতক ও মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার সুধাংশু বড়–য়া বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। এভাবে মানুষ মানুষকে মারতে পারে ? আমরা শুনে তাদের হাসপাতালে দেখতে যাই। তিনি এই ঘটনার নিন্দা জানান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, পুলিশ আহতদের লামা হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology