রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:১৫ অপরাহ্ন
মংছিংপ্রূ, লামা প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানে লামায় পাহাড়ে পল্লী গুলোতে চলছে জুম উৎসব। নতুন ধানে গুলা-ভরাই ব্যস্ত জুমিয়ারা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর জুমের ফলস ভাল হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশার করছেন উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও স্থানীয় জুমিয়া পরিবারগুলো। জুম ধানের পাশাপাশি জুমের ক্ষেতে মিষ্টি কুমরা, ছোট মরিচ, মারফা, হলুদ ও তিলের ভালো ফলন হয়েছে।
পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের আদি পেশা হলো জুম চাষ। এ উপজেলায় পাহাড়ে বসবাসকারী মধ্যে মারমা, ¤্রাে, ত্রিপুরা ও চাকমা স¤প্রদায়ের অধিবাসীরা বেশিরভাগ পরিবার গুলো ঐতিহ্যবাহী জুম চাষ করেই নির্বাহ করে তাদের জীবিকা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সূত্রে মতে, এ বছর লামা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৪শত হেক্টর জমিতে জুম চাষ হয়েছে। আবাদে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে বলেও জানা গেছে।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মিরিঞ্জা বাগান পাড়ার জুম চাষি গ্রেনা ত্রিপুরা ও মাএচিং জানান, এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় গত বছরের তুলনায় জুম ফসলের ভালো ফলন হয়েছে। জুমিয়া পরিবারগুলোতে বিরাজ করছে আনন্দ ও খুশি। খাদ্যের পাশাপাশি লেখাপড়া ও অন্যান্য খরচ যোগাতে অনেকটা সহায়ক হয়েছে।
পৌর এলাকায় বড় নুনারবিল পাড়া জুম চাষি উথোয়াইনু জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় জুমের ফলন ভাল হয়েছে। আর সারা বছরের জন্য খাদ্যের নিশ্চিত হয়েছে বলে তিনি জানান।
লুলেইং মৌজার হেডম্যান মি. সিংপাশ চৌধুরী জানান, প্রতি জুমিয়া পরিবার ২ থেকে ৩ শ আড়ি (প্রতি আড়িতে ১০ কেজি) জুমের ধান পেয়েছে। সকল জুমিয়া পরিবারে চলছে আনন্দের বন্যা।
লামা উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সানজিদা বিনতে সালাম জানান, উপজেলা কৃষি অফিস জুম চাষিদের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষন এবং সঠিক সময় সঠিক সার ও বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। ফলে এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় এবং কোন রকম পাহাড় ধস না হওয়ায় ফলন আগের তুলানায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আশা করা যাচ্ছে এ বছর পাহাড়িদের খাদ্যের নিরাপত্ত¡া নিশ্চিত হবে।
Leave a Reply