মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা:
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০১৮। তারই ধারাবাহিকতায় বান্দরবানের লামায় উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি স¤প্রাসারণ অধিদপ্তর দিবসটি পালন করে। এবারে দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘কর্ম গড়ে ভবিষ্যৎ, কর্মই গড়বে ২০৩০-এ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব’।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালির পরে লামা উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম, সমবায় কর্মকর্তা জাবেদ মীরজাদা, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোপন চৌধুরী, রতন দেব সহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত বিবেচনায় নিয়ে এদেশের গ্রামীণ কৃষিনির্ভর অর্থনীতিকে সুদৃঢ়করণের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যবলয় তৈরি করা প্রয়োজন।আবহমানকাল থেকেই কৃষি বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। দেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বাস করেন এবং তাদের জীবনমান কৃষিনির্ভর। তাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিনির্ভর টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অত্যধিক।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী দেশ। দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে কৃষিখাতে এ অর্জন ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেছেন। কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বর্তমান সরকারের গৃহীত নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণের ফলে কৃষিক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ধান, পাট, আলু, সবজি, ফলসহ মাছ, মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্ব স্বীকৃত।’ আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। এখন পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’

‘কৃষিকাজে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যেই কৃষির স¤প্রসারণ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের সরকার ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ করে দিয়েছে। কৃষি ভর্তুকির টাকা ওই অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রেরণ করা হচ্ছে।’