শুক্রবার, ০৯ Jun ২০২৩, ০২:৩৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বান্দরবান রাজার মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আওয়ামীলীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন: সভাপতি মংপু ও সাঃ সম্পাদক নাছির পাহাড়ে কি নাম ধরে তারা আসছে সেটা আমাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাঙ্গামাটি শহরে হঠাৎ দেখা মিলল ‘দাগি-বসন্ত’ পাখি বান্দরবান রাজার মাঠ সংলগ্ন পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন বান্দরবান কুহালং ইউনিয়নে এক জনকে অপহরণ বান্দরবান হিলবার্ড এলাকা থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই জন আটক প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেলো বান্দরবানের পিছিয়ে পড়া জনসাধারণ কেএনএফ’র গুলিতে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
লামায় মোটর সাইকেল লাইনে ব্যাপক চাঁদাবজির অভিযোগ

লামায় মোটর সাইকেল লাইনে ব্যাপক চাঁদাবজির অভিযোগ

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি লামাঃ
বান্দরবানের লামায় যাত্রীবাহী মোটর সাইকেল লাইনে (লামা-রুপসীপাড়া) ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁদাবাজির বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করায় মোটর সাইকেল চালক ও সমিতির নেতাদের সাথে কয়েকদফা সংঘর্ষ হয়। এতে সমিতির নেতাদের মারধরে আহত হয়ে ৩জন মোটর সাইকেল চালক লামা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

আহতরা হলেন, রুপসীপাড়া বাজার এলাকার সাত্তার ফরাজীর ছেলে মো. এনামুল হক (৩৫), মো. আবু জাফরের ছেলে মাসুম বিল্লাহ (২৩) ও রুপসীপাড়া পাড়ার বাজারস্থ গাজী পাড়ার সাইফুল পিসির ছেলে মো. রাসেল (৩৮)।
আহত মো. এনামুল হক বলেন, লামা বাজার হতে রুপসীপাড়া বাজার পর্যন্ত মোটর সাইকেল লাইনে কমিটির লোকজন ব্যাপক চাঁদাবাজি করছে। মঙ্গলবার দুপুরে কমিটির লোকজন আমার কাছে চাঁদা চাইলে আমি দিতে অপারগতা জানালে তারা মারধর করতে তেড়ে আসে। আমার পক্ষে আরো কয়েকজন চালক কথা বলে। পরে মোটর সাইকেল সমিতি সভাপতি মো. সাঈদ, নেতা মাহমুদুল হক, হারুণ অর রশিদ, সাহাবুদ্দিন সহ ১৫/২০ জন লাঠি সোটা নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। তারা নিরিহ বেশ কয়েকজন মোটর সাইকেল ড্রাইভারকে মারধর করে। গুরুতর আহত ৩জন হাসপাতালে ভর্তি হয়।

আহত মাসুম বিল্লাহ বলেন, একটি নতুন গাড়ি লাইনে আসলে কমিটিকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। এছাড়া মাসিক চাঁদা ১০০ টাকা, দৈনিক চাঁদা ২০ টাকা ও লাইনে থাকা গাড়িটি মালিক পরিবর্তন হলে আবারো ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। এর কোন হিসাব তারা সদস্যদের ও সংগঠনের কাউকে দেয়না। কেউ প্রতিবাদ করলে তার প্রাণে মেরে ফেলার ও মারধরের হুমকি দেয়া হয়। নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে একজন মোটর সাইকেল চালক বলেন, একজন নেতা আহতদের হাসপাতালে দেখতে এসে নিরিহ এক ড্রাইভারকে থাপ্পর দিয়েছে।
আরেক চালক আলী হোছন বলেন, আমি চাঁদা দিতে অনিহা প্রকাশ করলে কমিটির লোকজন আমাকে মারতে চায়। তাদের পিছনে রাজনৈতিক নেতারা থাকায় প্রশাসন তাদের কিছু বলেনা।

এই বিষয়ে কমিটির কয়েকজনের মোবাইলে ফোন করলে তাদের ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মারধরের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, কোন পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেয়নি। তবে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology