বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ১০:০০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শনিববার রাত পেরুলে সারাদেশ সহ বৌদ্ধ ধর্মলম্বীদের অন্যতম অঞ্চল বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়িতে পালিত হবে ধর্মীয় উৎসব ওয়াগ্যোয়েই পোয়েঃ( প্রবারণা পূর্ণিমা) উৎসব। এই দুইদিনব্যাপী প্রবারণা উৎসবকে ঘিরে সারাদেশে ন্যায় তিন পার্বত্য জেলার আদিবাসী পল্লীগুলো সেজেছে নতুন সাজ।
১৩ই অক্টোবর রবিবার ফানুস বাতি আলোতে রঙ্গিন হয়ে উঠবে গোটা বান্দরবান। বাংলাদেশে সরকারি ঘোষণা মোতাবেক প্রবারণা পূর্ণিমা নামে আখ্যায়িত হলেও পাহাড়ে আদিবাসী সকল সম্প্রদায়ে কাছে ওয়াগ্যোয়েই পোয়েঃ নামে বেশ জনপ্রিয়। এর অর্থ উপবাসের সমাপ্তি। বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষব্রত (উপবাস) থাকার পর ধর্মীয় গুরুদের সম্মানে এ বিশেষ উৎসব পালন করে থাকে। সকালে বর্ণালি আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে বিকেলে বৌদ্ধ মন্দিরে প্রার্থণার মধ্যদিয়ে শুরু হবে উৎসবের প্রথম দিন। সন্ধ্যায় রথে জ্বালানো হবে অগণিত মোমবাতি উড়ানো হবে অগণিত আকাশ প্রদীপ (ফানুস)। উৎসবে দিন শিশু থেকে প্রাপ্ত বয়স্করাও নতুন পোশাক পরিধান পড়ে আনন্দে মেতে উঠবে। ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ (প্রবারণা পূর্ণিমা) ১৪ই অক্টোবর সোমবার ধর্ম দেশনা মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটবে।
উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি বান্দরবান প্রতিদিনকে জানান, ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ (প্রবারণা পূর্ণিমা) বৌদ্ধ ধর্মে অন্যতম উৎসব এই দিন তিন পার্বত্য জেলা সহ সারাদেশে পালিত হবে। গতবছরে ন্যায় এবছরেও প্রবারণা উৎসবে দেশে সকল জাতির’র মানুষ সহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পর্যটকরাও প্রবারণা উৎসবে উপভোগ করতে পারবে। আজ ১২ শনিবার সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। বান্দরবান মারমা শীল্পি গোষ্ঠি এবং স্থানীয় শীল্পিরা অংশ গ্রহন করবে।
বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার জনাব, মোঃ জাকির হোসেন জানান, ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ (প্রবারণা পূর্ণিমা) কে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া উৎসবের সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগে কর্মকর্তারা নজর দেবে।
Leave a Reply