বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
অংগ্য মারমা;খাগড়াছড়িক প্রতিনিধি :
প্রতিদিনে ন্যায় স্বনির্ভর বাজারে সকালের চা খেতে যায় জিতায়ন চাকমা। মহালছড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারী পদে কর্মরত আছেন তিনি। কিন্তু চা খেতে গিয়ে আর বাড়িতে ফিরল না। বাড়িতে ফিরল লাশ হয়ে। মাটিতে পড়ে ছিল পলি চাকমা বাবার লাশ। পলি চাকমা বাবা কি অপরাধ ছিল। আমার বাবা কোন রাজনীতি দলের সাথে জড়িত ছিল না। এসব কথাগুলো বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মহালছড়ির স্বাস্থ্য-সহকারী জিতায়ন চাকমার মেজ মেয়ে পলি চাকমা।
এ সময় নিহত জিতায়নের স্ত্রী অন্বেষা চাকমা বলেন গুলি শব্দ শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন তার স্বামী জিতায়ন চাকমা লাশ মাটিতে পড়ে আছে। দেখেন কান্না ভেঙ্গে পড়ে অন্বেষ চাকমা । পলি চাকমারা তিন বোন। সবাই পড়ালেখা করে। বড় বোন জুলি চাকমা ও ছোট বোন অর্নিশা চাকমা। তারা ক্ষীপ্ত কণ্ঠে অভিযোগ করেন বলেন আমাদের কান্না কে শুনবে? আমরা কার কাছে বিচার চাইবো, আমার বাবা হত্যা বিচার কে করবে। এ সময় তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের রাজনীতি না করলেও সাধারণ মানুষ অহেতুক অকালে জীবন বলি দিতে হয়। এ ঘটনার জন্য প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন নিহতের পরিবার। সে সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবী করে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহত জিতায়নের তিন মেয়ে।
পরে ধর্মীয় নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে খবংপুড়িয়া শশ্মানে রবিবার দুপুরে গুলিতে নিহতদের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা রুপক চাকমা ও মহালছড়ির স্বাস্থ্য সহকারী জিতায়ন চাকমাকে অশ্রুসিক্ত বিদায় জানান স্থানীয়রা। ধর্মীয় রীতি নীতি মেনে অনুষ্ঠানের পর তাকে দাহ সম্পন্ন করা হয়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার (ওসি) অফিসার ইনচার্জ মো: শাহাদাত হোসেন টিটো বলেন এ ঘটনা এখন পর্যন্ত কোন মামলা করা হয়নি। শনিবার সকালের ৮টা থেকে ৯টায় সময়ে পূর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভ ও সামাবেশে গণজমায়েতে প্রস্তুতিকালের খাগড়াছড়ি জেলা সদরের স্বনির্ভর বাজারে প্রতিপক্ষের ব্রাশফায়ারে নিহত ৭ জন ও আহত চারজন হয়।
এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্বার, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে করতে রবিবার থেকে যৌথ অভিযান শুরু করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার আলী আহমেদ খান জানান পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সমন্বয়ে এই অভিযান চলবে পুরো সপ্তাহ জুড়ে। পরে প্রয়োজনে অভিযানের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারে।
Leave a Reply