বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
রাঙামাটি প্রতিনিধিঃ
নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষ করে সাজেকের কংলাক ভোট কেন্দ্র ব্যালটসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরে ফিরে আসার সময় আঞ্চলিক দলীয় সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলায় ৩৫ জন হতাহতের ঘটনাসহ বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুরেশ কুমার তংচঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত জেএসএস-ইউপিডিএফ এর অস্ত্রধারীদেরকে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টা সময় বেধে দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরে পরপর দুইটি সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এই আল্টিমেটাম দেন নেতৃবৃন্দ। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি আসামীদের আইনের আওতায় আনা না হয় তবে ভবিষ্যতে আরও বড় কর্মসুচির হুশিয়ারি দিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন পাহাড়ের জেএসএস-ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের নির্মূলে রাঙামাটিসহ তিনপার্বত্য জেলায় সেনাবাহিনীর ক্যাম্প বৃদ্ধি ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান চালাতে হবে। অন্যথায় অত্রাঞ্চলের জনসাধারণ আইন হাতে তুলে নিবে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত উক্ত মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়রসহ এলাকার সচেতন সমাজ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র জাফর আলী খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর শুক্কুর মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণত সম্পাদক মুনছুর আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর ছবুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান প্রমুখ।
ঘন্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে বক্তারা এই ঘঠনার জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস ও ইউপিডিএফকে দায়ী করে বলেন, প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে জেএসএস এর প্রার্থী প্রশাসনকে হুমকি দেওয়ার মাত্র কয়েক ঘন্টা পরে বাঘাইছড়ির নয়কিলোতে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের গাড়িবহরে সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে সর্বমোট ৩৫জন লোক হতাহত হয়েছে।
Leave a Reply