শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
সরওয়ার কামাল, মহেশখালীঃ
মহেশখালী উপজলার হোয়ানক ইউনিয়নের মোহরাকাটা এলাকায় গত ঈদুল ফিতরের পরের দিন মহেশখালী আদিনাথ জেটি এলাকায় ঈদ উপলক্ষে ঘুরতে আসা এক কিশোরীকে অপহরণ পরবর্তী ধর্ষণের ঘটনার দীর্গ ২ মাস পর থানায় মামলা হওয়ার তিন দিন পরে অবশেষে ধর্ষক আবুতালেব গ্রেফতার হয়েছে।
মহেশখালীর হোয়ানক মোহরা কাটার গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র আব্দুর রহিমের কিশোরী মেয়ে প্রতিবেশী অন্যন্যা মহিলাদের সাথে রমজানের ঈদের পরে ঘুরতে আসলে ঐদিন এলাকার পূর্বের পরিচয় সুত্রে জেটিঘাটে দেখা হয় পানিরছড়া এলাকার শামসুল আলমের পুত্র আবুতালেব ওরপে (গুরাইয়ার) সাথে। গুরাইয়া অনন্য সহযোগিদের বিভিন্ন কলাকৌশলে ফাকিঁ দিয়ে কিশোরীকে তার গ্রামের বাড়ীর নিকট এক আত্বীয়ের বাসায় রাত্রী যাপন করে কিশোরীটিকে সারা রাত ধর্ষণ করে পরের দিন চকরিয়া উপজেলায় নিয়ে যায়।
চকরিয়া এলাকার জৈনক নুরুন্নবী প্রকাশ মনু মেম্বার কিশোরী মেয়ে ও আবু তালেবকে আটক করে হোয়ানক মোহরাকাটা এলাকার মেম্বারকে সংবাদ দেয়। ঐ দিন থেকে ধর্ষক আবু তালেব বিয়ে করে ঘটনার নিষ্পত্তী করবে বলে কাল ক্ষেপন করে দীর্ঘ ২ মাস অতিক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ঘটনায় নির্যাতিত কিশোরীটি মহেশখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করলে মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর ধর্ষক ও আরো ২ সহযোগীর নামে ২৬/২৯-০৭-১৯ইং। মামলার ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধন/০৩ এর ৭/৯/(১)৩০ ধারায় একটি নারী নির্যাতন মামলা রুজু করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইমাম হোসেন আপরাধী আবু তালেবকে ধৃত করতে চেষ্টা চালায়। স্থানীয়দের সহায়তায় এই মামলার ১নং আসামী ধর্ষক আবু তালেবকে বড় মহেশখালীর শুকুরিয়া পাড়া গ্রাম থেকে ১লা আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, ১নং আসামী গ্রেফতার হওয়ায় মামলাটির অগ্রগতি এগিয়ে গেল। সুস্থ তদন্ত করে অপরাধীদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply