মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:১৮ অপরাহ্ন
আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার বাহিনীর মর্টারশেল নিক্ষেপ ও সীমান্তে যুদ্ধ বিমান থেকে গোলা নিক্ষেপের প্রেক্ষিতে ভয়ে আতঙ্কে তুমব্রু পয়েন্টে বসবাসরত ৩’শ পরিবারকে নিরাপদে সরাতে তমব্রু সীমান্তে পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক।
আজ সোমবার দুপুরে ১ টায় বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি ও বান্দরবান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলামসহ উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল তুমব্রু সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এর আগে প্রতিনিধি দলটি ১১ টায় ঘুমধুম পৌঁছে পার্শ্ববর্তী কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে যান। সেখানে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সরানো সাড়ে ৪ শ পরীক্ষার্থীর খোঁজখবর নেন তিনি । পরে তিনি তুমব্রু শূণ্যরেখায় বসবাসরতদের অবস্থান দেখেন। আর তাদের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেন।
শূণ্যরেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নেতা মাস্টার দিল মোহাম্মদ ও মোহাম্মদ আরেফ আহমদ জেলা প্রশাসককে বলেন, শূন্যরেখা থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে দিতে ২০১৮ সালের ২ মার্চ তুমব্রু সীমান্তে সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছিল মিয়ানমার। তখন প্রতিদিন গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যেত। মাইকিং করে শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে বলা হতো। নইলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে হুমকি দিত তারা । বিজিবির তৎপরতায় তখন সেনা সমাবেশ সরিয়ে নিলেও একাধিক চৌকি স্থাপন করে রোহিঙ্গাদের কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছিলো তখন।তারা আরো বলেন, তারই ধারারবাহিকতায় সর্বশেষ কৌশল হিসেবে তাদের ক্যাম্পে মর্টারশেল নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয় এক নিরীহ রোহিঙ্গাকে।
সে ঘটনায় আহত হয় আরো ৭ জন। যারা এখনও চিকিৎসা নিচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে। এর পর সীমান্তে ঘেঁষা বাজা বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ফাত্রাঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,বাইশফাঁড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,রেজু গর্জন বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষকদের সাথে কথা বলেন।
এদিকে তুমব্রু সীমান্তে পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক তিবরীজি সাংবাদিকদের বলেন, জনগণের নিরাপত্তা সবার আগে। আমরা দেখতে আসছি কোথায় সমস্যা হচ্ছে কিনা? বা সমস্যা হলে কি ধরনের সমস্যা সেটি বিবেচনা করে, আমরা জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলছি। সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে আমরা পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে শূণ্যরেখায় অবস্থানরত ৯৬৬ পরিবারের ৪ হাজার ৪ শত ৪৩ জন রোহিঙ্গারকে নিরাপদে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
Leave a Reply