শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:২২ অপরাহ্ন
র্যামবো ত্রিপুরা, থানচি প্রতিনিধিঃ
বান্দরবান থানচিতে আবারো ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের চার পরিবার বসত ঘর পুরে ছাই হয়ে গেল। চলতি মাসে এই পর্যন্ত ৮ পরিবার নিঃস্ব হল। এর মধ্যে ১ পরিবার সাহায্য সহযোগিতা পেলেও বাকী পরিবারগুলো এই পর্যন্ত সরকারী বেসরকারী কোন সাহায্য-সহযোগিতা পাইনি বলে অভিযোগ করেছেন।
এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি মাসে ১৩ই মার্চ শুক্রবার প্রথম অগ্নিকান্ড ঘটনা ঘটে সদর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় নাইন্দারী পাড়ার প্রধান নাইসিংঅং মারমা বসত ঘর, ১৭ই র্মাচ মঙ্গলবার একই ইউনিয়নের খিবুহ্রী পাড়া উচিংথোয়াই মারমা বসত ঘর, ১৯শে র্মাচ বৃহঃপতিবার রেমাক্রী ইউনিয়নের ডলু ম্রো পাড়ার ২ বসত ঘর ও গত শুক্রবার ২০শে র্মাচ সদর ইউনিয়নের ৭নং ওর্য়াডের দূর্গম জলু পাড়ায় ৪ ত্রিপুরা পরিবার এর বসত ঘর সহ এ পর্যন্ত মোট ৮টি বসত ঘর পুড়ে যাওয়ার খবর জানা যায়।
জলু পাড়া অগ্নিকান্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে হাঁস্তরাং ত্রিপুরা, খেমাজন ত্রিপুরা সাংবাদিকদের বলেন, জম বাহাদুর ত্রিপুরা (৩০) বসতঘর থেকে সোলার ব্যাটারী থেকে গত শুক্রবার সকাল ৯ টায় অগ্নিকান্ড সুত্রপাঠ হলে আমাদের চার পরিবারের প্রায় ১০ লক্ষাধিক সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে যাওয়ার সময় ছেলে-মেয়েদের পাঠ্য পুষ্ঠক, আমাদের আইডি কার্ড ও এক বৎসরের খোরকীসহ সম্পূর্ণ পুরে ছাই হয়ে গেছে কিছুই বাঁচাতে পারিনি। এই পর্যন্ত আমরা সরকারি বেসরকারী কোন সাহায্য সহযোগীতা পাইনি। সরকারী সাহায্য সহযোগিতা না পেলে পূনঃরায় বসত ঘর নির্মান করার সম্ভব হবেনা বলেও জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। তারা আরও জানান আমরা দেরীতে হলেও উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট বিষয়টি জানিয়েছি ।
এই নিয়ে থানচি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাংসার ম্রো বলেন, প্রথম দুইটি পাড়া আগুনে পুড়ে যাওয়ার খবর জানা থাকলেও আজ অপর দুই পাড়া অগ্নিকান্ডের খবর জানতে পেরেছি। আমার পক্ষ থেকে সাধ্যমতে সাহায্য সহযোগিতা দিতে চেষ্টা করেছি, এই সাহায্য যথেষ্ট নয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখনও মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অতিসত্বর ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো সরকারী আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও তিনি জানান।
Leave a Reply