শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:০৩ অপরাহ্ন
রাঙ্গামাটি সংবাদদাতাঃ
বরকলের ৪ নং ভূষনছড়া ইউনিয়নের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর নামে বরকল থানায় ধর্ষনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করলেন ভিকটিমের বাবা মো:নাছির হাওলাদার।
মামলার বাদী নাছির হাওলাদার জানান,ঘটনাটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে চেয়ারম্যান মামুন মিমাংসার জন্য বিভিন্ন ভাবে তদবির করতে থাকে,কিন্তু সুফল না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তার কিছু ক্যাডার আমাদের পিছনে লেলিয়ে দিয়েছেন যেন আমারা কোন আইনের আশ্রয় নিতে না পারি।আমার মেয়ে ও পরিবার কোন দিকে যায়,কার সাথে কথা বলে তার সকল নজরদারি রাখছেন।দীর্ঘ দিন ধরে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি কিন্তু ঘরের বাহিরে যাব সেই সুযোগ দিচ্ছে না মামুন চেয়ারম্যান।
পরিশেষে বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের দৃষ্টি গোচর হলে,বরকল থানায় পুলিশের নিরাপত্তার মাধ্যমে মামুন চেয়ারম্যানের নামে একটি ধর্ষণ মামলা করি। এবং আমি মনে করি মামলা হয়েছে এখন আসামি কে দ্রুত গ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
সাম্প্রতি কিছু স্থানীয় অনলাইন গণমাধ্যমে বাদী পক্ষের অভিযোগ অশিকার করেন ইউপি চেয়ারম্যান মামুন। কিন্তু ভিকটিম নাছরিন বিষয়টি চ্যালেন্জ করে সকল তথ্য ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন।এবং এই সকল বিষয়ে রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে যাওয়া হলে,মামলা না নেওয়ার পরামর্শ দেন মামুন চেয়ারম্যান।
সাম্প্রতিক মামুন চেয়ারম্যান পক্ষে ভয় দেখিয়ে নাছরিনের দাদী ও দাদার জোর পূর্বক ভিডিও ধারন করেন,যা সম্পূর্ণ অনৈতিক বিষয় ছিল,এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন লংঘনের বিষয়।
এই বিষয়ে প্রতিবেদক চেয়ারম্যান মামুনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে,চেয়ারম্যান মামুনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে নাছরিন তার জবানবন্দিতে বলেন,চেয়ারম্যান মামুন আমাকে রাঙ্গামাটি সহ ভূষনছড়া ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বিয়ে নামে কয়েকবার ধর্ষন করে।
একপর্যায়ে আমি অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ি।বর্তমানে আমি সাত মাসের অন্ত:সত্ত্বা।নারি লোভী মামুন চেয়ারম্যান অনেকবার চেষ্টা করছিল আমার গর্ভপাত নষ্ট করার,কিন্তু সেইটা টের পেয়ে চট্টগ্রাম চলে যাই।এসব ঘটনা আমি আমার মা বাবা ও আত্মীয়স্বজনদের জানালে তারা দ্রুত আইনগত বিচার ব্যাবস্থা নিতে বলে। তাই গত ২৪শে জুন বিকেলে বরকল থানায় মামুনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করি। আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই।
এদিকে বরকল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কাজী মো:জসিম উদ্দিন বলেন, ভিকটিমের বাবা ভিকটিম কে থানায় নিয়ে এসে ৪নং ভূষনছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো:মামুনুর রশিদ মামুনের বিরুদ্ধে ৯ (১)২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ বিয়ে এবং চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক সময়ে একাধিক বার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।মামলা নং ০২,তারিখ ২৪শে জুন ২০২০।বর্তমানে মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।এবং পুলিশ হেফাজতে ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য রাঙ্গামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
Leave a Reply