বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:১৫ অপরাহ্ন
আব্দুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ড পুর্ব বাইশারী তুফান আলী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ নুরুল আলম ফলজ ও বনজ নার্সারি করে এখন স্বাবলম্বী। ১ একর ২০ শতক জমি বন্দক নিয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর আগে থেকে ক্ষুদ্র পরিসরে নার্সারি শুরু করে নুরুল আলম। এখন তার নার্সারিতে লাখের উপরে রয়েছে বিভিন্ন জাতের চারা।
শুক্রবার সরজমিনে গিয়ে দেখা হয় নুরুল আলমের সাথে তখন তিনি বলেন, নার্সারিয় আমার জীবন। আমার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। চারা গুলুকে নিজ সন্তানের মত যত্ন করি। সংসারে এখন আর অভাব অনটন নাই । এক ছেলে, মেয়ে স্ত্রীসহ ৫ জনের ছোট সংসার । অভাবের কারনে লেখাপড়া তেমন শিখতে পারিনি। তবে ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষিত করার ইচ্ছা রয়েছে।
ফলজ চারার মধ্যে রয়েছে আম, জাম, কাঠাল, জাম্বুরা, লেবু, মালটা এবং বনজ মধ্যে রয়েছে আকাশ মনি, ছোট, বড়, মাঝারি সহ তিন প্রকার জাতের , আর ও রয়েছে গর্জন, কড়ই, মেহগনি অর্জন সহ নানা জাতের চারা। সর্বমোট খরচ হয়েছে ৩ লাখ টাকার প্রায়। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর চারা বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।
দীর্ঘ আঠারো বছর ধরে নার্সারি করে আসছি। কিন্ত সরকারী ভাবে কোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা পায়নি। তবে এ বছর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষি অফিসাররা নার্সারি পরিদর্শন করেছেন বলে ও জানান। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন জাতের চারা প্রতি বছর ফ্রি অনুদান ও দিয়ে থাকেন বলে ও জানান ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের জানান, নুরুল আলমের নার্সারি থেকে ভাল জাতের চারা ক্রয় করে সফল হয়েছি। ৩ বছরেই ফলন ধরা শুরু হয়েছে ।
এ বিষয়ে বাইশারীর দায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ রফিকুল আলম বলেন, তার নার্সারি পরিদর্শন করা হয়েছে। আগামীতে নুরুল আলমকে দক্ষ করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সেই সাথে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
Leave a Reply