শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন
আব্দুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ না কাটতেই পরবর্তী আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এরই মধ্যে প্রার্থীতা নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে ক্ষমতাসীন দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলা উপজেলার দলীয় কার্যালয়ে।
তবে সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতা নিয়ে আপাতত কিছু ভাবছে না বিএনপি। স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থীকে ও সমর্থন দেওয়ার মতো কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। আর বিগত সময়ের ইতিহাস মতে, আঞ্চলিক কোনো দলও এখানে প্রার্থী দিচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কারাগার থেকে প্রতিদ্বনিদ্বতা করে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিজয় লাভ করেছিলেন সে সময়ের জামায়াত নেতা তোফাইল আহমদ। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের আশায় সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনার মাধ্যমে বিএনপিতে আবির্ভাব ঘটে এই নেতার। কিন্তু ক্ষমতায় আবারো মহাজোট সরকার আসীন হওয়ায় দুইবারের নির্বাচিত এই প্রতিনিধি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না বলে সেটা অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে।
স্থানীয় ভোটারদের মতে, তোফাইল আহমদ ২০০২ সালে ইউপি চেয়ারম্যান এবং পরে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘ ১৫-১৬ বছর নাইক্ষ্যংছড়িতে কর্তৃত্ব চালিয়ে এসেছেন। এবার হেভিওয়েট এই প্রার্থী নির্বাচনে অংশ না নিলে আওয়ামীলীগের যে কোনো প্রার্থীর জন্য বিজয় নিশ্চিত করা সহজ হয়ে দাঁড়াবে।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থী ও দলীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে মতামত নিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগ। বৈঠকে চেয়ারম্যান পদে ১০জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন, ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামীলীগ এর সিনিয়র এক নেতা জানান, নাম প্রস্তাব আনলেও যাচাই বাছাই শেষে ৩জন করে প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা নিয়ে আশাবাদী রয়েছেন বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মো. শফি উল্লাহ, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি আবু তাহের কোম্পানি, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব খায়রুল বাশার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইকবাল, ও যুবলীগ সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান মেম্বার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মংলা মারমা, শ্রমিকলীগ সভাপতি জহির উদ্দিন, এবং ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে মহিলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জুহুরা বেগম, সাধারণ সম্পাদক ওজিফা খাতুন রুবি, ও সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা আক্তার রুনার নাম আলোচনায় রয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপি দলীয় ব্যানারে কোনো প্রার্থী নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিলেও আসন্ন নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন দুইবারের নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা চৌধুরী।
নির্বাচনে বিএনপি বা অন্য কোনো দলের প্রার্থী না থাকলে আসন্ন নির্বাচন অনেকটা ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। দলীয় মনোনয়ন যিনি পাচ্ছেন তাঁর বিজয় আপাতত নিশ্চিত বলা গেলেও আরও কয়েকদিন সময় পার করতে চান কৌশলী জন প্রতিনিধিরা।
Leave a Reply