মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকা স্মরণ কালের ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। টানা ভারী বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে চার শতাধিক পরিবার।
২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার ঘুমধুমে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খোঁজ খবর নিতে ছুটে যান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যাপক মোঃ শফি উল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস, নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন। এসময় ক্ষতিগ্রস্থদেরকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয় এবং নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মুহাম্মদ আলমগীর হোসেনের পক্ষ থেকে চাল,ডালসহ প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করেন।
তুমব্রু গ্রামের কোনার পাড়া, পশ্চিমকুল, মধ্যম পাড়া, হিন্দু পাড়া, উত্তর পাড়ার প্রায় ২ শতাধিক বাড়ি পানির নিচে ছিল। টানা বৃষ্টির কারণে এলাকার পাশাপাশি ১০/১৫টি মুরগীর খামারও পানিতে তলিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারীরা। এতে খামারীরা প্রচুর ক্ষয় ক্ষতির শিকার হয়েছে ।
সানা উল্লাহ জানান, তুমব্রতে ৫টি ঘুমধুমে ২ টি পাড়া কেন্দ্র পানির স্রোতে ভেসে নিয়ে যায়। এরই মধ্যে পানির প্রবল স্রোতে শাহজাহান, ফজর আলী, আলম, মোকতার , আলম, মির আহম্মদ খলিফা, বাইগ্যা, আব্দুল করিম, আকতার, মুন্নি, রাবিয়া, খদিজা , আলম, ছেয়দ খলিফা, উসমান, আব্দুল গফুর, মো. আমিনের ঘর সম্পূর্ণ ধ্বসে পড়েছে। মুজিব শতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত উপহার সৈয়দ আলমের বাড়ি পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে যায়।
ঘুমধুম ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি এম ছৈয়দুল বশর জানান,’ ভারী বৃষ্টি হওয়ায় এলাকার পশ্চিমকূলসহ কয়েকটি পাড়ায় পানিতে প্লাবিত হয়।’তিনি বলেন, ‘প্লাবিত এলাকায় মানুষের পাঁশে দাড়ানোর জন্য স্বউদ্যোগে নিজেই নৌকা নিয়ে পানি বন্দি মানুষের জন্য খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ছুটে যান।
এই বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও বৃষ্টির শুরুতে জনসচেতন মূলক পাহাড়ধ্বস, অতি বৃষ্টির হলে নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য মাইকিং সহ প্রতিটি ওয়ার্ডের ওয়ার্ড মেম্বার ও জনগনকে সজাগ থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছি। পানি বন্দী মানুষ ও গৃহপালিত পশুদের কে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সাথে দুই দিনের খাবারের ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।
তিনি তুমব্রু এলাকায় প্রায় ৪০০শ পরিবারসহ ঘুমধুম ইউনিয়নের প্রায় ৭শত পরিবারের মত ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন বলে জানান।
গত ২৬ জুলাই থেকে শুরু হওয়া টানা প্রবল বর্ষণের ফলে তুমব্রু এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়। গতকাল ২৭ জুলাই এক কিশোর নিহত হয়। ফের ভারী বর্ষণ চলায় পাহাড়ধসে একাধিক ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে তুমব্রু বাজারের দোকান পাটসহ প্রায় ৫০ টিরও বেশি ঘরবাড়ি।
Leave a Reply