শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫১ অপরাহ্ন
জসাইউ মার্মাঃ
উঁচু নিচু পাহাড়, মেঘে ধাকা সবুজ পাহাড় এবং আঁকা বাঁকা মেঠো পথ বান্দরবানে আনন্দ উপভোগ করতে আসে দেশের লাখো পর্যটক। পর্যটকদের আনাগোনা বাড়লে, বাড়ে এখানকার ব্যবসা বাণিজ্য ও রুজি রোজগার। ব্যবসা সচল থাকে পর্যটকদের উপর নির্ভর করে।
অদৃশ্য শক্তি করোনাভাইরাস প্রার্দুভাব দেখা দেওয়ায় বান্দরবানকে লকডাউন ঘোষণার পর সবকিছু থমকে গেল। দীর্ঘ পাঁচ মাস যাবৎ বন্ধ থাকায় থামিয়ে গেছে রুজি রোজগার। এই সময়ে এক টাকাও আয় করতে পারিনি। ঘরে বসে ছিলাম। শৈল প্রপাতে আমার মত আরো ১৫-১৮ দোকানি আছে, সবারই একই সমস্য বান্দরবান প্রতিদিনকে এমটায় জানিয়েছেন ভান নুর জিরে বম।
সে আরো জানায়, এই ব্যবসা থেকে আমার আয়ের উৎস। বছরে দুই মাসের মত দোকান বন্ধ রাখি। বিশেষ করে ঈদের সময় পর্যটক বেশি থাকলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হয়েছে এমনও দিন গেছে। করোনার কারনে মার্চ মাস থেকে দোকান বন্ধ থাকায় এক টাকাও আয় করতে পারিনি। গতকাল শুক্রবার থেকে আবার দোকান খুলতে শুরু করেছি।
পসরা সেজে বসে আছে আরেক দোকানি পার কিম বম সে জানালেন, করোনার সমস্যা সারা বিশ্বের সমস্যা। এর প্রভাব থেকে আমরাও রেহাই পাচ্ছি না। পর্যটক হচ্ছে আমাদের দেবতা সমতুল্য, পর্যটক থাকলে দিনে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করে থাকি। পাঁচ মাস ধরে বসে আছি। আজকে দোকান খুললাম। আশা করছি পর্যটক আসলে আবার আগের মত বেচাকেনা ভালো হবে।
আজ শৈল প্রপাত, স্বর্ণ জাদি, নীলাচল, মেঘলা ও চিম্বুক পাহাড় এ সব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কয়েকটি দোকান গতকাল শুক্রবার থেকে খুলতে শুরু করেছে। শৈল প্রপাতে ১৫-২০ জনের মত চট্টগ্রাম এলাকার পর্যটকদের দেখা গেছে। তবে অন্যান্য জায়গায় পর্যটকদের দেখা যায়নি।
Leave a Reply