বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১১:২৩ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজঃ
সবুজ পাহাড় ঘেরা এই পার্বত্য বান্দরবান জেলা। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে পাহাড়ের ছাচে ছাচে। পিছিয়ে নেই এখানকার যুব সমাজ।
শহর, পাড়ায় কিংবা মহল্লায় তরুণদের হাতে দেখা যায় এন্ড্রয়ট ও ষ্মার্ট মোবাইল ফোন। তবে কেউ কারোর সাথে কথা বলার সময় নেই তাদের। খুব ব্যস্ত। একটু দুরে থেকে শোনা যাচ্ছে ফায়ার, ফায়ার, ও শিট, রাইট, লেফট, মামা, মার মার নানান রকম শব্দ। শব্দ শুনে একটু কাছে গিয়ে এক জনকে জিঙ্গেস করলাম তোমরা কি খেলছ পাবজি আরেক জন বলল ফ্রি ফায়ার।
স্কুল কলেজ পড়ুয়া তরুণ যুব সমাজের দেখা দিয়েছে এসব ইন্টারনেট গেমস’র প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। আধুনিক বিশ্বের সাথে খাপ খাওয়াতে হলে ইন্টারনেট কিংবা স্মার্টফোনকে প্রয়োজনীয়তা প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে স্মার্টফোন কতটা সুফল এনে দিচ্ছে সেটা এখন ভাবার বিষয়। করোনা কালিন সময়ে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় অলস সময়ে আরো বেশি ঝুকে পড়ছে পাবজি বা ফ্রি ফায়ার গেমসের প্রতি।
বান্দরবান উজানী পাড়া এলাকার কলেজ পড়ুয়া ছন্দ নাম উমং দীর্ঘ দিন ইন্টারনেটের মাধ্যমে দিনকে রাত রাতকে দিন করে পাবজি ভিডিও গেমসের প্রতি আসক্ত হয়ে এখন মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। এক দিন পরিবার কাছ থেকে পাবজি খেলতে ডাটা কেনার জন্য টাকা চেয়ে না পাওয়ায় রাগে সে ঢাকায় পর্যন্ত পৌছে গিয়েছিল বলেও শুনা গেছে।
বান্দরবানে এই পাবজি খেলার সংখ্যাটা ষোল কিংবা আঠারো অনূর্ধ্ব বেশির ভাগই। এদের অনেকের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব শোচনীয়। অধিকাংশ ছেলেরা অনলাইন ক্লাসের দোহাই দিয়ে কিংবা পরিবারের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্মার্টফোন বা এ্যান্ড্রোয়েট ফোন কিনছে। কিন্তু সবার আসল উদ্দেশ্য পাবজি খেলা।
পরিশেষে বান্দরবানে বসবাসরত সকল সচেতন অভিভাবক, প্রশাসন, সুশীল সমাজ, সকলের কাছে অনুরোধ ইন্টারনেটের ভয়াবহ পাবজি গেম থেকে সন্তানদের ভালোর পথে যাবার পরামর্শ প্রদান করা হোক, যাতে এই গেমস এর কারণে কোনো মা-বাবার কাছ থেকে ঝরে না যায় ফুটফুটে একটি প্রাণ । এটাই সকল বান্দরবানবাসীর আহ্বান।
Leave a Reply