বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৭ অপরাহ্ন
শেখ ইমতিয়াজ কামাল ইমন, রাঙ্গামাটিঃ
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পার্বত্য এলাকায় প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখা হবে রাঙ্গামাটিতে নির্বাচনী মতবিনিময়কালে একথাগুলো বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার একে এম নুরুল হুদা ।
আজ ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট হলে একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ লক্ষে তিন পার্বত্য জেলার সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার , রিটার্নিং কর্মকর্তা, থানার অফিসার ইনচার্জ ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি বিশেষায়িত এলাকা, এই এলাকার ভৌগলিক অবস্থান ও স্থানীয় জনসাধারনের প্রতি সম্মান রেখে আগামী ৩০শে ডিসেম্বর একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন । জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় উক্ত নির্বাচনে সম্পূর্ন নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ থেকে দায়িত্ব পালন করার জন্য পাহাড়ের সকল স্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে সারাদেশে যেভাবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলছে, পাহাড়েও একইভাবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলবে । প্রতিটি কেন্দ্রে সেনা মোতায়েন, প্রয়োজন অনুসারে হেলিকপ্টার ব্যবহারসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু রাখা হবে।
এদিকে, সোমবার ঢাকায় নির্বাচন কমিশনার মাহাবুব তালুকদার কর্তৃক দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে এখনো পর্যন্ত লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি হয়নি মর্মে বক্তব্য প্রদান করা হয়েছিলো, বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে একজন স্বাধীন মতপ্রকাশ করতেই পারে। এটা একেবারেই অসত্য কথা। দেশে এখন সুষ্ঠ নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে বলে জানান।
তবে এবারে আমাকে সকলেই আশ্বস্থ করেছে এবং সেনাবাহিনী-বিজিবি এরা প্রত্যেকে গ্রামে গ্রামে ঘরে ঘরে গিয়ে জনসাধারণকে আশ্বস্থ করার চেষ্ঠা করছে , ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারবেন, আমরা সেই চেষ্ঠাই করছি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, সকলের অংশগ্রহণে একটি সুন্দর অংশগ্রহণমূলক নির্র্বাচন উপহার দিতে সর্বদা প্রস্তুত। এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনা বলেন, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করা নাহলেও যেখানেই ঝামেলা সৃষ্টি হবে সেখানে তারা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে। এই ক্ষমতা তাদের দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply