রিমন পালিতঃ স্টাফ রিপোর্টারঃ
পূর্ব আকাশে সূর্য উঠার আগে পাহাড়ের গায়ে হালকা আলো পরতে শুরু করলে মাথায় ঝুঁড়ি নিয়ে পাহাড়ে জনপদের নারী-পুরুষেরা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পরে দূর পাহাড়ের উদ্দ্যেশে। বান্দরবানে জুমের ধান পাকতে শুরু করায় ধান কাটা ও গোলায় তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে জুম চাষিরা। নতুন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে। তারা এখন দিন কাটছে জুমের ঘরে। এবারে আবহওয়া অনুকুলে থাকায় বেশ ভাল ফলন হয়েছে। যেন কৃষকের হাসি থামছে না। জুমের ধান কাটার আগে জুমে বিভিন্ন ধরনের পূজা দেয়া হয় সেটিও দেয়া হয়েছে। আর এই জুম ধানের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসরত পাহাড়ি জনগোষ্ঠি।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেল বান্দরবানের লাইমি পাড়া, চিম্বুক, দশ মাইল এলাকা, গেছমনি পারা, ও নীলগিরির কিছু পার্শ্ববর্তী এলাকায় সোনালী জুম ধান পাকতে শুরু করেছে।
এই বিষয়ে চিম্বুক এলাকার জুম চাষী মেন য়ক ম্রো সাথে কথা বললে তিনি জানান, জুমধান প্রায় পাকতে শুরু করেছে, পুরোপুরি পাকা হলে আমরা ধান কাটা শুরু করব। আবহাওয়া মোটামুটি ভালো থাকার কারণে এই বছর অনেক ধান পাব বলে আশা করছি। ধান চাষের পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়া, বিনি চাউল, কাকন চাউল, মারফা, বেগুন,মরিচ,তুলা,ভুট্টা,টিল ও বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষবাদ করে,এভাবে জীবিকা নির্বাহ করে। জুম চাষ করে যাহা উপার্জন করে তা দিয়ে পুরো বছরেরর সংসার চালিয়ে নেয়।
এই বিষয়ে কথা বলেছি বান্দরবানের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাথে। বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সদড় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ওমর ফারুক জানান, এই বছর কৃষকরা ভালো ফলন উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে, আমরা তাদেরকে জুমচাষের পাশাপাশি বিভিন্ন রকম বারোমাসি ফসল উৎপাদনে নানারকম প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি এবং তাদেরকে নিয়মিতভাবে নানা রকমভাবে হাতেকলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তা দেখানো হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তারা কৃষি চাষের পাশাপাশি নানা রকম ফল ও শাকসবজি উৎপাদনের দ্বিগুণ পরিমাণ লাভবান হয়েছে।
আমরা চেষ্টা করবো পরবর্তীতে দুর্গম এলাকায় বসবাসরত সকল কৃষকদের নানারকম উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পাহাড়ে বিভিন্ন ফল উৎপাদন করে বান্দরবানের সুনাম যাতে সম্পূর্ণ বাংলাদেশের ছড়িয়ে দিতে।
Leave a Reply