শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
কঠোর লকডাউন চলাকালীন সময়ে বান্দরবানে শষা চাষী ও ব্যাপারীরা মুখ থুবড়ে পড়েছে। ভরা মৌসুমের শুরুতে ভালো দাম পেলেও শেষ মৌসুমে এসে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা প্রতি মণ শসা বিক্রি হচ্ছে বলে চাষীরা জানিয়েছে।
অপর দিকে ব্যাপারীরা বলছেন, গাড়ী যাতায়াত করতে পারলেও শহরে মানুষজন কম থাকায় বিকিনিকি তেমন হচ্ছে না।
রেইছা এলাকায় চাষী মংশৈবাই মার্মা জানায়, প্রায় আড়াই কানি শসা চাষ করেছি। সার ও মজুরি বাবদ খরচ হয়েছে ২ লাখের মত। ভালো গুলো প্রতি মণ ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা এবং একটু খারাপ মানের গুলো ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা মণ বিক্রি করেছি। ফলন ভালো হয়েছে তবে খরচের টাকাও উঠবে না।
তিন কানি শসা চাষাবাদ করছেন জয়নাল তিনে বলেন, বিগত বছরগুলোতে ভালোভাবে লাভ করতাম। দুই বছর ধরে করোনার কারনে ব্যপারীরা আনাগোনা কমে যাওয়ায়, আমাদের লোকশান হচ্ছে। এই মন্দা কাটিয়ে উঠতে পারছিনা। এবারে শেষ মৌসুমে এসে আরো খারাপ হলো।
ব্যাপারী কাদের আলী জানায়, ফেনী, নোয়াখালী, দেমসা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় আরদদারদের কাছে বিক্রি করে থাকি। যান চলাচল ও মানুষের কর্মব্যস্ত কম থাকায় ক্রেতা কম। এতে চাষীরাদেরও ক্ষতি আমাদেরও ক্ষতি।
মো: ওমর ফারুক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, বান্দরবান প্রতিদিনকে বলেন, প্রতি বছর বান্দরবানে সদর, রোয়াংছড়ি, লামা, নাইক্ষ্যছড়িতে শসা আবাদ বাড়ছে। এই মৌসুমে চাষীরা প্রথম দিকে ৮০০-১,০০০ টাকা প্রতি মণ বিক্রি করতে পেরেছে। করোনার কারনে কিছুটা চাষী ও ব্যাপারীরা ক্ষতি হয়েছে। সব জায়গায় এই মন্ডা সৃষ্টি হয়েছে। তার পরও আমরা চেষ্টা করেছি কৃষকরা নায্যমূল্যা দামে বিক্রি করতে পারে।
Leave a Reply