বান্দরবান প্রতিনিধিঃ
জনগুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পাড়ার উন্নয়নের ছোঁয়ার লাগলেও বিদ্যুৎ খুঁটির সঞ্চালন লাইন থাকলেও বিদ্যুৎ আলো জ্বালাতে পারিনি বান্দরবানে দুর্গম এলাকা থানচি উপজেলা চারটি গ্রামের ২শতাধিক পরিবার কাছে । উপজেলা সদর ইউনিয়নের আপ্রুমং পাড়া (৪৫), সুব্রাইনী পাড়া (২০), ছান্দাক পাড়া (৬৫) ও বলিপাড়া ইউনিয়নের ক্রংক্ষ্যং পাড়া (৮৮)।
যেখানে ২শতাধিক পরিবারসহ পড়ালেখা করার ছাত্র-ছাত্রীসহ পরিবারের সকল সদস্যরা বিদ্যুৎ আলো থেকে বঞ্চিত বলে স্থানীয়রা জানান।
জানা যায়, ২০১৭ সালের বলিপাড়া বাজার, বলিপাড়া, দাকছৈ পাড়া, আইলমারা পাড়া, বাগান পাড়া, কমলা বাগান পাড়া, থানচি বাজার, মগক হেডম্যান পাড়া, মরিয়ম পাড়া, সাধু যোসেফ পাড়া, হাসপাতাল, মিশন, বয়ক হেডম্যান পাড়া ও টিএনটি পাড়াসমূহে প্রায় ৭শত বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ আলো জ্বালাতে সুবিধা পেলেও আরো প্রায় ২শতাধিক পরিবারের বিদ্যুৎ আলো জ্বালানো সুবিধা পাননি।
বিদ্যু বিভাগ হতে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রীর বীর বাহাদুর (উশৈসিং) এমপি’র প্রচেষ্টায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) অর্থায়নে বান্দরবান জেলা সদর হতে থানচি উপজেলা সদর পর্যন্ত প্রায় আড়াই কোটি।
এদিকে স্থানীয় পাড়ার বাসিন্দারা জানান, চারটি পাড়ার বৈদ্যুতিক খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন স্থাপনের সময়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী সংস্থাকে প্রতিটি পাড়ার থেকে ২০-৪০ হাজার টাকাসহ খুঁটির বহনের শ্রম দিয়েছিলাম। আবারও কিছু খরচ হিসাবে চাইলে বিদ্যুৎ আলো পাওয়ার আশায় এই কয়েক মাস আগে ৩০-৫০ হাজার টাকা তুলে দেয়ার হয়। লাইন বসানোসহ সবই ঠিকঠাক আছে। কিন্তু এখনো বিদ্যুৎ আলো দেখতে পারছি না।
আপ্রুমং পাড়া নিবাসী সদর ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান চাইসিং উ মারমা বলেন, উপজেলা সদরে আমাদের পাড়াসহ চারটি পাড়ার বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোসহ সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা থাকলেও বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়নি। তবে দ্রুতভাবে বৈদ্যুতিক আলো সংযোগ স্থাপনের সংশ্লিষ্ট্য কতৃকপক্ষ সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করছি বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানী প্রতিবেদকে বলেন, সম্প্রতিক পরির্দশনে সময়ে সদর এলাকায় বিদ্যুৎ খুঁটিসহ সঞ্চালন লাইন স্থাপনে কাজ শেষ হয়ে দেখেছি। সঞ্চালন লাইনসহ খুঁটি বসানো পাড়ার বিদ্যুৎ আলোর সংযোগে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট্য উর্ধতম কতৃকপক্ষকে বলবো বলে জানান এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply