শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজঃ
নিখোঁজের ৪ দিনের মাথায় মংলু মাং(৪৯) ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার লাশ আজ শনিবার রোয়াংছড়ি তারাছা ইউনিয়নে জামাই ঝিরি(সামা তহ্ ম্রং) নামক দুর্গম এলাকা থেকে পুলিশ ও স্থানীয়রা লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত মংলুমাং মারমা(৪৯) বান্দরবান শহরে ৩ নং ওয়ার্ড কালাঘাটা এলাকার সাবেক পৌর কাউন্সিলর উসাচিং মারমার বড় ছেলে। তিনি বিবাহিত তার দুই ছেলে সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি মংলু মাং সে হেডম্যান উনিহ্লার মুহুরি হিসেবে কাজ করত। হেডম্যানের একটি জায়গা বিক্রির কথা রয়েছে। গত ১১তারিখ বুধবার দুপুরের দিকে সেই জায়গা দেখতে ক্রেতাসহ আরো দুই ব্যক্তি অভি ত্রিপুরা ও ধনজয় ত্রিপুরাকে নিয়ে নিহত মংলুমাং সেই জায়গাটিতে যায়। জায়গা দেখে ফেরার পথে কালাঘাটা গোদা পাড়া নামক এলাকায় পৌছার আগে অভি ত্রিপুরা ও ধনজয় ত্রিপুরা এক রাস্তা দিয়ে চলে যায়, আর নিহত মংলুমাং আরেক রাস্তার দিকে চলে যায়।
সেই দিনে সন্ধ্যার দিকে মংলুমাং হেডম্যানের বাড়িতে এসে হেডম্যানের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চাইলে হেডম্যান তাকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে দেয়। তখন হেডম্যানকে সে বলল আজকে আমার সাথে ফোনে এক জনের সাথে অনেক বাকদ-িতা হয়েছে। আমি অনেক গালিগালাজ করেছি। এটাই বলে সে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে সে নিখোঁজ।
কালাঘাটা গোদা পাড়া বাসিন্দা দুই নারী শুক্রবার সকালে জঙ্গলে পাতা কাটতে গেলে দুর থেকে বাঁশের পাতা ও কলা পাতা ঢাকা অবস্থা একটা কিছু দেখতে পেয়ে। তারা আরো কাছে গিয়ে দেখে একটি লাশ পড়ে আছে। ভয়ে তারা দুই জন সেই স্থান ত্যাগ করে দ্রুত গ্রামে চলে এসে, কালাঘাটা ৩নং ওয়ার্ড কমিশনার অজিত কান্তি দাশকে খবর দেয়।
কমিশনার অজিত কান্তি দাশ জানায়, গোদা পাড়া এলাকার মানুষ একটি লাশের সন্ধানে খবর দেয়। লাশটি জামাই ঝিরি নামক স্থানে পড়ে আছে। আমি তখনই জাননতাম না এটি মংলুমাং’র লাশ। শনিবার সকালে স্থানীয়দের সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি এটি মংলুমাং এর লাশ। পরে পুলিশকে খবর দিলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় স্থানীয় ও পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়ে।
তবে খুবই নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। মাথায় প্রচুর গায়ের কোপ রয়েছে। হাতের আঙ্গুল কাটা, পেত কাটা অবস্থায় লাশটি পড়ে ছিল ঝিরিতে।
তারাছা মৌজার হেডম্যান উনিহ্লা জানান, সে আমার হুমুরি হিসেবে কাজ করত। নিখোঁজের দিন গত ১১ তারিখে সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চায়। আমি তাকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে দিয়। তখন মংলুমাং আমাকে বলেছিল ফোনে এক জনের সাথে তার প্রচুর বাকদণ্ডিতা হয়েছে। আমি তখন বললাম বন্ধু তুমি বোধয় কাজটা ভালো করনি। তখন সে বলল সমস্যা নেই দোস্ত। আমি সামলে নিবো। এই বলে সে আমার বাড়ি থেকে চলে যায়। এর পর থেকে নিখোঁজ। আজকে তার লাশের খবর পেলাম।
এই বিষয়ে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, মংলুমাং মার্মা নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি। ময়না তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
Leave a Reply