বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
মংক্যাইনু মারমা, রোয়াংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি :
বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলা আলেক্ষ্যং ইউনিয়নে ওয়াগয় পাড়া বাসিন্দা মৃত মোঃ আমির হামজার এর মেয়ে রোয়াংছড়ি মডেল সরকারী প্রাথামিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামীমা আক্তারকে শ্লীলতাহানির অপরাধে জুয়েল ইসলাম আরিয়ান (২৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৪ই জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা রোয়াংছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। সূত্রে জানা যায় দেড় বছর পূর্বে জলঢাকা উপজেলা জলঢাকা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে বগুলাগাড়ি চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা মৃত মোঃ আসরাফ আলীর ছেলে জুয়েল ইসলাম আরিয়ানের সাথে ফেসবুকের পরিচয় হয়।
এক পর্যায়ে পরস্পরে ঘনিষ্ঠতা হয়ে বিভিন্ন কথাবার্তা হয়ে থাকে। পরে সহকারী শিক্ষিকা শামীমা আক্তার জুয়েল ইসলাম আরিয়ানের কথাবার্তা ও আচার-আচরণ অশোভন মনে হলে এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করেন। ওই জুয়েল ইসলাম আরিয়ান সাথে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জুয়েল ইসলাম আরিয়ান নামে ছেলেটি হঠাৎ করে রোয়াংছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপস্থিত হয়ে স্কুল মাল্টিমিডিয়া কক্ষে শিক্ষিকাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, প্রাণনাশের হুমকি সহ শ্লীলতাহানির ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক উচহ্লা মারমা বলেন আমি ক্লাস রুমে থাকা অবস্থায় শিক্ষিকা শামীমা আক্তার ফোন করে দ্রুত অফিসে আসতে বলেন আমিও দ্রুত অফিসে গিয়ে দেখি শিক্ষিকার শামীমা আক্তারের হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে আছাড় মেরে ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করছে ওই ছেলেটি এবং তেড়ে আসতে দেখে স্কুলে থাকা ক’জন শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে ডাকি এবং সকলে পরামর্শ ক্রমে কোন উপায়ান্তর না দেখে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
পরে রোয়াংছড়ি থানার পুলিশ এসে শামীমা আক্তারকে ঐ ছেলের হাত থেকে উদ্ধার করেন এবং মোঃ জুয়েল ইসলাম আরিয়ানকে গ্রেফতার করে থানা নিয়ে যায়। রোয়াংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী গ্রেফতারের ব্যাপারে সত্যতা স্বীকার করে বলেন একজন সহকারী শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে উদ্ধার করেছি। সাথে সাথে জুয়েল ইসলাম আরিয়ানকে আটক করেছি।
Leave a Reply