মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
মংক্যাইনুু মারমা, রোয়াংছড়ি প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলার রামজাদি এলাকা ময়নাতলিতে রাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে রোয়াংছড়ি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ যুবককে আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদ ভিত্তিতে রোয়াংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ নির্দেশে এসআই মাহ্বুব খান নেতৃত্বে রামজাদি ও ময়নাতলি এলাকার অভিযান চালিয়ে কালাঘাটা বড়ুয়া টেক রূপনগর নতুন পাড়া মো: নবী হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩২) কে আটক করেন। এরপর একে একে কালাঘাটা বড়ুয়া টেক রাণী চর বাসিন্দা মো: আলী ছেলে মো: ফিরোজ (১৯), একই গ্রামের মো: আব্দুল আলীমের ছেলে মো: আব্দুল জব্বার ডাক নাম লেদু (১৯), পেশকার বা রাজার ঘোনা বাসিন্দা মৃত মো: জাকির হোসেনের ছেলে মো: রুবেল (২২) সহ ৪ জন ডাকাতের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসহ হাতে নাতে আটক করেন পুলিশ। আসামি স্বীকারোক্তিতে আরো অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন আছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, সন্ধ্যা নামলে রামজাদি ও ময়নাতলি এলাকাতে বহুদিন ধরে চাঁদা আদায় এমন ন্যাক্কার জনক বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করে আসছে ডাকাতি দলটি। একারণে এলাকার মানুষ সন্ধ্যা নামলে যাতায়াত করতে ভয় করে। বিশেষ জরুরি হলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। রোয়াংছড়ি-বান্দরবান সড়কের শুধুমাত্র এ পথ ধরেই যাতায়াত করতে হয়। সন্ধ্যা নামলে এ পথ দিয়ে যাতয়াত করা খুবই বিপদজনক হয়ে উঠে। বিশেষ করে ছোটখাটো গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা সমস্যা। শুধু মালামাল লুট করে ও ক্ষান্তহননি যাত্রীদেরকে মারধর করে, ডাকাতি ঘটনা প্রকাশ করলে প্রাণনাশে হুমকি দেয় বলে জানান এলাকার সংশ্লিষ্টরা। কালাঘাটা তাদের গডফাদার রয়েছে, তাদের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত।
নোয়াপতং ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মেচিং মারমা জানান, গত ক’মাস আগে বান্দরবান থেকে প্রায় সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে ফেরার পথে ময়নাতলি এলাকায় পৌঁছলে গাড়ি গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর এবং মারাতœক ভাবে আহত করেন। টাকাসহ মালামালগুলো লুট করে নিয়ে ফেলে। এরাই আমাকে ডাকাতি করেছিল।
রোয়াংছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম চৌধুরী সত্যতার স্বীকার করে বলেন, গতকাল বুধবার মধ্যে রাতে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে লাঠিসোঠা ও ধারালো অস্ত্রসহ ৪ ডাকাতকে আটক করেছি। তিনি আরো বলেন, ওই রামজাদি এলাকায় বহুদিন ধরে এ ন্যাক্কার জনক কাজ করে আসছে। এলাকা বাসিরা প্রায় অভিযোগ করেছে। তবে এখন জানতে পারলাম আসলে ঘটনা সঠিক। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম ছাড়া ৩জন গাছ চুরিতে অভিযুক্ত মামলা আসামি। তাঁদেরকে কোর্টে পাঠানো হবে।
Leave a Reply