বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
রাঙ্গামাটিতে দোলযাত্রা হোলি রঙের উৎসব পালিত বান্দরবানে উদযাপিত করল জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৩ বান্দরবান দলবনিয়া এলাকায় বন্যা দূর্গতদের মাঝে মোবাইল হেলথ ক্যাম্প ইউপিডিএফের ৪ নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে মানিকছড়িতে অবরোধ চলছে কলাবতী শাড়ি আগামীতে দেশের বাইরে রপ্তানিতে ছেয়ে যাবে – শাহ্ মোজাহিদ রোয়াংছড়ি তুলাছড়ি পাড়ায় প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে পিআইসি’র কমিউনিটি চার্টার বিষয়ক মতবিনিময় বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
লামায় কঠিন চীবর দানোৎসবে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা

লামায় কঠিন চীবর দানোৎসবে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি লামাঃ
নানা আয়োজনে লামা উপজেলায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মাসব্যাপী কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা ছোট পাড়া বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাবু ক্যশৈহ্লা। এসময় তিনি বিহারের সীমাঘর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, লামা উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি, বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তফা জামাল, ফাতেমা পারুল, লামা থানা অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা, ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিংপ্রæ মার্মা, বাথোয়াইচিং মার্মা, ইউপি মেম্বার আপ্রæচিং মার্মা, মো. শহীদুজ্জামান সহ প্রমূখ।
সকাল থেকে ধর্মীয় নানা আয়োজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের পর উপাসনার মধ্য দিয়ে মূল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আশপাশের সকল বিহারের ধর্মীয় গুরুজন ভান্তেরা উপস্থিত হয়। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ও দায়ক-দায়িকা ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নৃ-তাত্তি¡ক গোষ্ঠীর শতশত নারী-পুরুষ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
প্রতি বছর প্রবারণা পূর্ণিমার পরই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এক মাস পর্যন্ত কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন। তাদের বিশ্বাস বুদ্ধ ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে এই চীবরদানের মাধ্যমে পূণ্য লাভ করা যায়। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের টানা তিন মাস বর্ষাবাসের পর প্রবারণা পূর্ণিমা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মাসোব্যাপী কঠিন চীবরদান উৎসব। এসময় দায়ক-দায়িকারা বৌদ্ধ বিহারে ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে সংঘ দান, অষ্ট পরিস্কার, বুদ্ধ মূর্তি, কল্পতরু, হাজার প্রদীপসহ নানাবিধ দান করে। এছাড়া চন্দন ও ডাবের পানি দিয়ে বুদ্ধমূর্তিকে স্নান করানো হয়।
এরপর ধর্মীয় গুরুজনেরা কঠিন চীবরের মাহাত্ম তুলে ধরেন এবং দায়ক-দায়িকাদের ধর্মীয় দেশনা দেন। এবার উপজেলার কয়েক‘শ বৌদ্ধ বিহারে পর্যায়ক্রমে কঠিন চীবর দান উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology