বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লামায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গভীর রাতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।তাই সে তার বাড়িতে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে রাখে। যেখানে সন্ত্রাসীদের হামলার দৃশ্য ভিডিও হয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে দাবী জানায় স্থানীয়রা। ডাকাতি ও হামলার এই বিষয়ে কথা হয় অংশা ঝিরির বাসিন্দা আলী জহুরের সাথে।
উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ডের অংশা ঝিরি এলাকার মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে আলী জহুরের বাড়িতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় এই ঘটনা ঘটে। ৮ জনের একটি সশস্ত্র সংঘবদ্ধ গ্রুপ দেশী রিবলবার, গাদা বন্দুক, দা ও লম্বা ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের হামলায় আলী জহুরের ছোট ভাই মোঃ রফিক বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় ও তার তালত ভাই আবুল কালামকে (বাম হাত) কুপিয়ে আহত করে।
তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার ১৪ বিকেল ৩টায় উত্তর মালুম্যা পাড়া থেকে আধা কিলোমিটার দূরে পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার ডুলহাজারা চা বাগানের ভেতর ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক এলাকার বাসিন্দা মোঃ নুরুল আমিন পিতা- ছৈয়দ আহম্মদ, রহমত উল্লাহ ও মো. মহসিন মিলে ১টি ছাগল চুরি করে জবাই করতে আমি দেখে ফেলি। তখন তাদেরকে ধাওয়া করলে এক পর্যায়ে ২জন পালিয়ে গেলেও নুরুল আমিনকে টমটম থেকে হাতে নাতে ধরে ফেলি। পরবর্তীতে ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বিচার করেন।
বিচারে নুরুল আমিনকে ছাগল চুরির অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ছাগলের প্রকৃত মালিক শামশুল আলম বুঝিয়ে দেয়া হয়। সেই দিন ছাগল চোর নুরুল আমিন এবং তার বড় ভাই আমাকে ‘দেখে নিবে’ বলে হুমকি দিয়ে যায়।
রাত আনুমানিক ১টার সময় ডাকাত দল বাড়ীর আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং আমার স্ত্রী জেসমিন বেগমের গলার গহনা ও ছোট বোনের কানের দুল সহ প্রায় ২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। হামলায় আমার ছোট ভাই মো. রফিক বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় ও তার তালত ভাই আবুল কালামকে বাম হাতে দায়ের কোপ লাগে। আহতদের চকরিয়ায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি লামা থানাকে জানালে রাত ২টায় লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, ঘটনাটি খুবই ভয়ংকর হয়েছে। ছবি ভিডিওতে যা দেখলাম তাতে যথারীতি ভয় পাওয়ার মত। তবে হামলাকারীদের চিনতে পারি নাই। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এরপর বিষয়টি তদন্তে কয়েকদফা পুলিশ আলি জহুরের বাড়িতে আসে।
এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। ছবির ক্যাপশনঃ ১. লামা (বান্দরবান) ডাকাতি ও সশস্ত্র হামলা চালানোর সময় সিসি ক্যামেরায় ধারনকৃত সন্ত্রাসীদের ছবি। ২. লামা (বান্দরবান) ডাকাতি কালে গুলিবিদ্ধ মো. রফিক ও দায়ের কুপে আহত আবুল কালাম। ৩. ভিডিও- ব্যবসায়ী আলী জহুরের বাড়ির সিসি ক্যামেরায় ধারনকৃত ভিডিও।
Leave a Reply