শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন
আবদুল হামিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ
কুখ্যাত ও স্বশস্ত্র আনাইয়্যার নের্তৃত্বে ডাকাতদল ফাকাঁ গুলি ছুরে আতংক সৃষ্টি করে রামুর গর্জনিয়ায়, ৩দিন ধরে ডাকাতী,মারধর,অপহরণের চেষ্টা ও ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সব ঘটনায় ধর্ষিতা ২ নারীসহ ৫ নারী আহত হয়েছে। এদের ২ জনকে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাকাতের চাদাঁদাবী ,ধর্ষণের ভয়ে এলাকাবাসী এখন গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে সরে গেছে অন্যত্রে ।
এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে স্থানীয় পুলিশদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে।
এলাকাবাসীরা জানান, আনোয়ার হোসেন ওরফে আনাইয়্যা ডাকাত বাইশারী ছেড়ে গত ৩ দিন ধরে গর্জনিয়ায় তান্ডব শুরু করেছে। গত মঙ্গলবার গভিররাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দফায় দফায় হামলা চালায় কক্সবাজার জেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের দূর্গম শামার ঘোনা ও মিয়াজির ঘোনাএলাকায়। মিয়াজির ঘোনা এলাকাটি হলো ইউনিয়নের থোয়াইংগ্যার কাটা গ্রামের পূর্বদিকের পাহাড়ি এ গ্রাম।
এ গ্রামের শাহ আলম নামের এক ব্যবসায়ী জানান, আন্ইায়্যা ডাকাতের নেতৃর্ত্বে ডাকাতদল তার বাড়িতে হানা দেয় বৃহস্পতিবার গভির রাতে। প্রথমে তারা ফাকাঁ গুলি ছুরে দরজা ভেঙ্গে বাড়িতে ধুকে। এর পর আরো ফাকাঁ গুলি ছুরে আতংক ছড়িয়ে ডাকাতি করতে থাকে। এ সময় তারা ( ডাকাতরা) আমার বাড়ি থেকে নগদ অর্থ,মোবাইল ও স্বর্ণসহ এক লক্ষ টাকা নগদ অর্থ লুট করে। আর ডাকাত কে যথাসময়ে ভেতর থেকে দরজা খুলে না দেয়ার অজুহাতে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী তসলিমা আক্তার, গৃহবধূ রহিমা খাতুন (৩৫) ও জরিনা খাতুন ( ৩০) কে ছুরিকাঘাত ও মারধর করে। ছাত্রী তসলিমাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী চর্তুপাশদিয়ে এগিয়ে আসলে তাকে ছেড়ে দিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। আহতরা এখন নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
সে আরো জানায়, এ ডাকাত দলটি শুক্রবার সকাল থেকে ফোনে ৫ লাখ টাকা চাদাঁদাবী করে আসছিলো । টাকা না দিলে তার পরিবার সদস্যকে অপহরণ করে এ টাকা আদায়ের হুমকিও দিতো। প্রানের ভয়ে আমি এখন এলাকাছাড়া হয়েছি।
সেচ্ছাসেবক লীগের ওয়ার্ড সভাপতি মো: ওসমান জানান, গত ৩ দিন ধরে তান্ডব চালানোর পরও শুক্রবার রাত ৮টায় এ আনাইয়্যা ডাকাত তার দলবলসহ শামার ঘোনা পাহাড়ে অবস্থান করছে। আর এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের শিয় পাড়া,মিজ্জির ঘোনা,শামার ঘোনা,মৌলভী ঘোনা ও আবুল কাশেমের ঘোনা ৫ গ্রামের প্রায় দেড়শতাধিক মানুষ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে এসেছে নিরাপদে। এখন তারা বাড়ি-ঘরের মূল্যবান মালামাল, সম্পদ নিয়ে বেশ চিন্তিত রয়েছে।
এ গ্রামের বাসিন্দা আবদুল জলিল ও আবদুল্লাহ সহ অনেকেই জানান, মঙ্গলবার রাতে এক জনকে অপহরণ করে ডাকাতদলটি থেমে থাকেনি। ডাকাতদলটি এক রাতে ২ নারীকে ধর্ষণ করেছে। যা খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর পাশর্^বর্তী গ্রামের নারীরা এখন চরম আতংকের মধ্যে রয়েছে। ধর্ষিতা নারীদের মধ্যে একজন তরুণী আর অপর জন গৃহবধূও ছিল।
এ বিষয়ে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল মনসূর জানান,কিছু সন্ত্রাসী গর্জনিয়ার শামাঘোনা এলাকায় হানা দিচ্ছে তিনি শুনেছেন। বর্তমানে এসব এলাকায় পুলিশের টহল রয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য আরো পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় কয়েকজন নারী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ধর্ষণের বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
তিনি আরো জানান, দূধর্ষ আনাইয়্যা ডাকাত ও তার দলকে আটক করতে পুলিশ-র্যাব ও বিজিবি মাঠে নেমেছে। আশা করছি খুব অল্প সময়েই তাদেরকে আটক করতে পারবো।
Leave a Reply