বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:০৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
রাঙ্গামাটিতে দোলযাত্রা হোলি রঙের উৎসব পালিত বান্দরবানে উদযাপিত করল জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৩ বান্দরবান দলবনিয়া এলাকায় বন্যা দূর্গতদের মাঝে মোবাইল হেলথ ক্যাম্প ইউপিডিএফের ৪ নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে মানিকছড়িতে অবরোধ চলছে কলাবতী শাড়ি আগামীতে দেশের বাইরে রপ্তানিতে ছেয়ে যাবে – শাহ্ মোজাহিদ রোয়াংছড়ি তুলাছড়ি পাড়ায় প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে পিআইসি’র কমিউনিটি চার্টার বিষয়ক মতবিনিময় বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
৩০০ নং আসন বান্দরবান অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব না মিটলে, বড় দুদলেই একাধিক প্রার্থীর অংশ নেয়ার সম্ভাবনা

৩০০ নং আসন বান্দরবান অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব না মিটলে, বড় দুদলেই একাধিক প্রার্থীর অংশ নেয়ার সম্ভাবনা

রিমন পালিত,ষ্টাফ রির্পোটারঃ
১৯৯১ সালের পর থেকে সংসদীয় বান্দরবান ৩০০ নং এই আসনটি আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়নি। পর পর পাঁচ বার দলের মনোনীত প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং বান্দরবান আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। বিজয়ের এই ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে দলের নেতা কর্মীরা। আগামী সংসদ নির্বাচনেও দলটি বীর বাহাদুরকেই সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায়।

অন্যদিকে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা দুই রাজপরিবারের দ্বন্দ্বের কারনে বিএনপি এখনো ঘুরে দাড়াতে পারেনি। সম্পর্কে মামি ভাগিনা হলেও রাজপুত্র সাচিং প্রু জেরী ও রাজ পুত্রবধু মাম্যাচিং এর মধ্যে যেন বাঘ সিংহের লড়াই। ১৯৯৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর বাহাদুরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাচিং প্রু জেরী ৩ বার ও মাম্যাচিং ১ বার হেরে যান। কেন্দ্র বেশ কয়েকবারই উদ্যোগ নিলেও এখনো থামেনি মামি ভাগিনার এই দ্বন্দ্ব। প্রতিবারই এই সুযোগটি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। তবে এবারে নির্বাচন ভিন্ন থেকে ভিন্নতর হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে।

তবে বহিস্কৃত নেতাদের একটি গ্রুপ সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগে মাথা চাড়া দিয়ে উঠায় নির্বাচনের আগে দলটিও অস্বস্তিতে রয়েছে। দলটির সাবেক সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা ও সাধারন সম্পাদক কাজি মুজিবুর রহমান বহিস্কৃত হওয়ার পর বীর বাহাদুরের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছে। দলের সুবিধা বঞ্চিত ও সংস্কার পন্থিরা এই গ্রুপটির সাথে সক্ষতা গড়ে তুলায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পরেছে অভিজ্ঞ নেতা বীর বাহাদুরের। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ছ্ড়াাও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতিরও গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা রয়েছে।

২০০৮ সালে দলটি একবারই প্রার্থী দেয় এই আসনে। অন্যদিকে অপর আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফও ২০০৮ সালে নির্বাচনে অংশ নেয়। এবার এই দুটি দল নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে কিনা এখনো সঠিক বলা না গেলেও এই আসনে প্রাথীর বিজয়ে বড় ধরনের ভ’মিকা রাখবে বলে ধারনা করছেন অনেকেই। অভিজ্ঞরা মনে করছেন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান যাই হোক না কেন নির্বাচনের আগে বড় দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মিটাতে না পারলে নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী অংশ নিতে পারে।

বহিস্কৃত নেতাদের জোট নিয়ে চিন্তিত আওয়ামী লীগঃ
১৯৭৯ সালে পার্বত্য চট্রগ্রাম স্থানিয় সরকার পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন বীর বাহুদুর। এ সময়ে তিনি জাতীয় পার্টির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৮৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম এ পাশ করেন তিনি। আওয়ামী লীগে যোগদানের পর ৯১ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনে জয়ি হয়ে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ১৯৯৭ সালের ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা রাখেন তিনি। পরবর্তীতে দুদুবার উপমন্ত্রীর মর্যাদায় পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডর চেয়ারম্যন ছিলেন বীর বাহাদুর। ২০০২ সালে বাংলাদেশ অওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদিয় দলের হুইপ নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের পর ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৫ সালে পঞ্চমবারের মত বীর বাহাদুর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। ক্লিন ইমেজের কারনে সর্বত্রই তার সুনম রয়েছে। বান্দরবানের শিক্ষা, স্বাস্থ্য যোগাযোগ, অবকাঠামোসহ প্রতিটি সেক্টরে তার অবদান নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে ভ’মিকা রাখছে। দলের নেতা কর্মীরাও বীর বাহাদুরের একক নেতৃত্বের উপর নির্ভরশীল। ফলে দল থেকে সরে গিয়ে কিছু নেতা কর্মী বিদ্রোহ করার চেষ্টা করলেও তারা তেমন সুবিধা করতে পারেনি। ২০০১ সালে দলের নেতা রাংলাই ¤্রাে, থোয়াইং চ প্রু মাষ্টার, আইয়ুব চৌধুরী ও ২০১৫ সালে দলের সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা বীর বাহাদুরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২০০৭ সালে দলে বিদ্রোহ করেন পৌর মেয়র মিজানুর রহমান বিপ্লব। শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দল থেকে বহিস্কৃত সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা ও সাধারন সম্পাদক কাজি মুজিবুর রহমান একই সাথে জোট বেধে বীর বাহাদুরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন। বীর বাহাদুরও জয়ের পথ সুগম করতে নানা ধরনের চেষ্টা ও কৌশল বজায় রেখেছেন। দলের বহিস্কৃত ও বিদ্রোহী অনেক নেতাকেই তিনি আবারো দলে টেনে এনেছেন। তবে নেতা কর্মীদের একে অপরের প্রতি আস্থাহীনতা তৈরী হওয়ায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তৃণমূল কমিটিগুলো বীর বাহাদুরকেই করতে হচ্ছে।

এদিকে দীর্ঘদিন দলের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন, প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালে নানান সমস্যা নিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি। পরে ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বীর বাহাদুরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান তিনি। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। অন্যদিকে কাজি মুজিবুর রহমান শ্রমিক লীগের সভাপতি থেকে শুরু করে দলের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। দলে প্রভাব বিস্তার ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারনে তাকেও জেলা কমিটি বহিস্কার করে। বহিস্কৃত এই দুই নেতা এখন জোট বেধে বীর বাহাদুরের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে ইতিমধ্যে তারা প্রচারনাও শুরু করে দিয়েছেন। নৌকায় ভোট চাইলেও এই জোটটি বীর বাহাদুরকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে।

তারা জানান আওয়ামী লীগে সাংগঠনিক কাঠামো ধসে পরেছে। সুবিধাবাদি লুটেরারা সক্রিয় হয়ে উঠায় আগামী নির্বাচনে এর বিরুপ প্রভাব পরবে। অস্তিত্ব বাঁচাতে আগামী নির্বাচনে দুজনই দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন বলে তারা জানান।

তবে বীর বাহাদুর বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই নেতা কর্মীরা তার পক্ষেই কাজ করবে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সব চেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে পাহাড়ে। এ কারনে আগামীতেও এই দলের প্রার্থীকেই জনগণ বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে। বহিস্কৃত নেতার দৌড়ঝাপ প্রসঙ্গে বীর বাহাদুর বলেন, প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা, কাজি মুজিবুর রহমান তারা দল থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিয়েছে। তাদের দুঃসময়ে সাথে ছিলাম। কিন্তু তারা নিজেদের কারনেই নেতা কর্মী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। আর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা দলের জন্য কখনই মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না।

বিএনপি
মামি ভাগিনার পুরনো দ্বন্দ্ব বিএনপিতেঃ
১৫ তম বোমাং রাজা অংশৈ প্রু চৌধুরীর বড় ছেলে সাচিং প্রু জেরী। ১৯৯৮৯ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়ার সময়ে সংসদ সদস্য ছিলেন অংশৈ প্রু। পারিবারিক ভাবেই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত জেরী। ১৯৮৯ সালে উপমন্ত্রী মর্যাদার স্থানিয় সরকার পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। দীর্ঘদিন তিনি জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন তিনি। পরে ২০০১ সালে বিএনপির বিদ্রোহী ও ২০০৮ সালে দলীয় মনোনয়নে নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান তিনি। ১৩ তম বোমাং রাজা ক্যজসাইন এর পুত্রবধু মাম্যাচিং এর সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরেন তিনি। রাজ পরিবারের সূত্র ধরে সম্পর্কে জেরী ও মাম্যাচিং মামি ভাগিনা। রাজরিবারের প্রভাবের কারনে বিএনপি ও সাধারন মানুষের আর্শিবাদপুষ্ট সাচিং প্রু জেরী অওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর বাহাদুরের সাথে তিন বারই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। বিএনপির মাম্যাচিং গ্রুপের একটি বড় অংশই তার বিরোধিতা করে আসছে।

ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রচারনাও শুরু করে দিয়েছেন এই নেতা। অন্যদিকে ১৩ তম বোমাং রাজা ক্যজসাইন এর পুত্রবধু মাম্যাচিং ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় থেকে ১৯৭৬ সালে সাংবাদিকতায় মাষ্ট্রার্স পাশ করেন। এ সময়ে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সাথে জড়িত ছিলেন। বিএনপির সাবেক মহাসচিব আবদু সলাম তালুকদারের হাত ধরে বিএনপির রাজনীতিতে নাম লেখান মাম্যাচিং। পরে ৯১ ও ৯৬ সালে মহিলা সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। এ সময় জেলা বিএনপির সভানেত্রীও ছিলেন। ২০০১ সালে দলীয় মনোনয়নে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর বাহাদুরের সাথে ৮’শ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন মাম্যাচিং। সে সময় বিএনপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন সাচিং প্রু জেরী। বিদ্রোহী প্রার্থী থাকা সত্বেও অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় দলের কাছে গ্রহনযোগ্যতা বেড়ে যায় মাম্যাচিং এর। কেন্দ্র মাম্যাচিংকে আবারো জেলা কমিটির সভানেত্রী নির্বাচিত করেছেন। তার সাাথে রয়েছে সাবেক পৌর মেয়র ও দলের সাধারন সম্পাদক জাবেদ রেজা। নেতা কর্মীদের একটি বড় অংশ তাদের সাথে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই এই গ্রুপটি থেকে বের হয়ে সাচিং প্রু জেরীর গ্রুপে যোগ দিয়েছেন। এবারে ২০১৮ সালে জাতিয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান ৩০০ নং আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য মাম্যাচিং ও জেরী কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দেয়া হয়। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে সাচিংপ্রু জেরীকে চুড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলে সূত্রে যানা গেছে। মামি ভাগ্নে দলীয় কোন্ডল সব জল্পনা কল্পনা অবসান ঘটিয়ে সাচিংপ্রু জেরী ৩০০ নং আসনে জাতীয় নির্বাচনে এমপি প্রার্থী হল। তৃণমুল পর্যায়ে নেতা কর্মীরা একহয়ে এবার নির্বাচনে কাজ করবে বলে যানা যায়।

সরব অন্যান্য দলের প্রার্থিরাওঃ
শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে দীর্ঘসুত্রিতা, আওয়ামী লীগ নেতা অপহরন, চাঁদাবাজিসহ নানা কারনে আওয়ামী লীগের সাথে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির মধ্যে বৈরী ভাব চলছে দীর্ঘদিন থেকে। একাধিক মামলার কারনে জনসংহতি সমিতির অনেক নেতা কর্মীরা ক্ষুদ্ধ আওয়ামী লীগের উপর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন বিরোধের জের ধরে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে অবস্থান নিবে জনসংহতি সমিতি। ২০০৮ সালে প্রথম জনসংহতি সমিতি বান্দরবানে প্রার্থি দেয়। আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ও দলের কেন্দ্রীয় নেতা কেএসমং মারমা নির্বাচনে অংশ নেন। এবার দলটি থেকে স্বতন্ত্র প্রাথী হিসেবে কেএস মং মারমা ও রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অংথোয়াই চিং মারমা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলে জানা গেছে। দলটির বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে নির্বাচনে অংশ না নিলে দলটি তাদের মতালম্বি যে কোন প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিতে পারে। জেলায় জনসংহতি সমিতির ভোট কম থাকলেও এই আসনে প্রার্থী জয়ের ব্যাপারে দলটির ভ’মিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন অভিজ্ঞরা।

এছাড়া ইউপিডিএফ নির্বাচনে অংশ নিলে স্বতন্ত্র হিসেবে তারা ছোটন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে প্রার্থী দিতে পারেন। এদিকে জাতীয় পার্টি ও জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক তৎপরতা অত্যন্ত কম হলেও তারা কেন্দ্রীয় সিন্ধান্ত অনুযায়ী বড় দুই দলের প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রচারণা চালায়।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology